বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৫ November ২০১৮

সহকর্মীদের সঙ্গে যেসব আলোচনা থেকে বিরত থাকবেন...


অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে শীতল, উষ্ণ নাকি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া উচিত? অফিস কি শুধুই কাজের জায়গা, নাকি নিজ ঘরের বাইরে আরেকটি ঘর। পরিবারের চেয়েও দিনের বড় একটা সময় আমরা সহকর্মীদের সঙ্গে কাটাই। অফিসকে তাই অনেকে বলেন ‘দ্বিতীয় ঘর’। আর এ কারণেই তাদের সঙ্গে অনেক সময়েই অফিসের কাজের কথার বাইরেও হালকা গল্পগুজব করা হয়। কিন্তু সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক যত ভালোই হোক না কেন, অফিসের ভেতরে কিছু কিছু বিষয়ে আলোচনা করা আসলেই উচিত নয়। কী করে বুঝবেন আপনি কোন কোন বিষয়ে আলোচনা করবেন না? জেনে নিন এই বিষয়গুলো-

রাজনৈতিক আলোচনা : কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে শক্তিশালী কাজের সম্পর্ক না গড়ে অফিসে উসকানি দেওয়া, দলবাজি, গুজব ছড়ানো এবং অফিস রাজনীতির মতো নোংরা কাজে লিপ্ত হওয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখা। গোপনে গোপনে রাজনীতি বিষয়ে অফিসে আলোচনা না করা সবচেয়ে ভালো। সহকর্মীরা বিপরীত মতাদর্শে বিশ্বাসী হলে এ থেকে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। এমন কোনো কৌশল অবলম্বন করুন, যাতে আপনি সহকর্মীদের সামনেই খোলামেলাভাবে আলোচনা করতে পারবেন।

আগের চাকরিটা খারাপ ছিল : নতুন চাকরিতে এসে আগের অফিস সম্পর্কে নেতিবাচক কথা কখনো বলবেন না। আপনার আগের চাকরিটা নিয়ে আপনার মনে যতই ক্ষোভ থাকুক না কেন তা সহকর্মীদের কাছে প্রকাশ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। আপনি যদি আগের চাকরি নিয়ে বার বার অভিযোগ করেন, তা শুনে মনে হতে পারে আপনি দায়িত্বশীল নন। বরং সেখান থেকে আপনি কী শিখেছেন, সে বিষয়ে কথা বলুন।

অর্থনৈতিক লেনদেন : অফিসের সহকর্মীদের সঙ্গে অবশ্যই অর্থনৈতিক কোনো না কোনো লেনদেনের সম্পর্ক হয়ে যায়, এই বিষয়ে সবাই একমত পোষণ করবেন। এর থেকেই আবার শুরু হয় সম্পর্কের অবনতি। অনেকের ভালো সম্পর্কের সূত্রটাও হয় এখান থেকে। তবে সবচেয়ে ভালো, লেনদেনের সম্পর্কে না জড়ানো। সহকর্মী টাকাটা ফেরত নাও দিতে পারে, এমন মানসিকতা নিয়ে ধার দিতে হবে। যেমন- পাঁচশ অথবা এক হাজার টাকা দিতে পারেন, ফেরত না দিলে আপনার ক্ষতি হবে না। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ টাকা ধার দিয়ে বার বার ফেরত দিতে বলবেন না। তাতে সম্পর্ক নষ্ট হয়।

পারিবারিক আলোচনা : কারো পরিবারের কথা নিয়ে কখনো মজা করবেন না। মজা করার মতো অনেক কিছুই পাবেন। মজা করার ছলে কখনই পারিবারিক বিষয়ে আলাপ করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার বিবাহবার্ষিকী বা বাচ্চার জন্মদিন নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু আপনার জীবনসঙ্গীর পরকীয়া আছে কি না, এমনকি আপনাদের অন্তরঙ্গ কোনো তথ্য নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত নয় একদমই। যাকে আপনি সহকর্মী বন্ধু ভাবছেন, সেই একদিন আপনার ক্ষতি করে দিতে পারে।

চাকরি খুঁজছেন : আমরা সবাই প্রতিনিয়ত আরো ভালো চাকরি অথবা ভালো কিছু করার চেষ্টা করি সবসময়। তবে এক চাকরিতে থেকে আরেক চাকরি খোঁজ করাটা সহকর্মীদের কাছে গোপন রাখাই ভালো। আপনি যদি নতুন জায়গায় চাকরি পান, তাহলে বড়জোর আপনার কর্মকর্তাকে জানাতে পারেন। অন্যরা জানতে পারলে আপনার ক্ষতিও করতে পারেন।

কোম্পানির সমালোচনা : এখন আপনি কোম্পানির বদনাম করলেও একটা সময়ে প্রমোশন হয়ে ওই কোম্পানির নীতিনির্ধারকের জায়গায় আপনাকে বসতে হতে পারে- এটা মনে রাখুন। বদনাম না করে বরং কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করুন।

বস বা সহকর্মীদের নিয়ে অভিযোগ : সহকর্মী অথবা বসের ওপর কোনো কারণে রাগ হলেও তা নিয়ে আরেক সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। অফিসে গুজব ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো। আপনার এক মুহূর্তের অসাবধানতার কারণে সহকর্মী অথবা বসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। এমনকি আপনার পদোন্নতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

স্বাস্থ্যগত আলোচনা : টুকিটাকি কথা বলতেই পারেন। যেমন অফিসের পর দাঁতের ডাক্তার দেখাতে যাবেন, বা জ্বরের কারণে দুয়েক দিন ছুটি নিচ্ছেন। কিন্তু বড় কোনো শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করার কোনো দরকার নেই।

সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা অবশ্যই ভালো। কিন্তু এ সম্পর্কে মাঝের দেয়াল ঘোলাটে হয়ে গেলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিজের জন্য এবং সেই সঙ্গে নিজের ক্যারিয়ারের জন্য উভয় ক্ষেত্রেই এই দূরত্বটা জরুরি।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১