আপডেট : ০৪ November ২০১৮
সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ প্রশাসনের শীর্ষ ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মধ্য আমেরিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দলে থাকা ছয় শিশুর বাবা-মা। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির কলাম্বিয়া ডিস্ট্রিক আদালতে এ মামলা হয়। যদিও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঢলকে বহিরাক্রমণ আখ্যা দিয়ে এটি ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসি ও সিএনএন। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা এসব বাবা-মায়ের অভিযোগ, মধ্য আমেরিকানদের এদেশে আশ্রয় চাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। উন্নত জীবন ও নিরাপদ ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় ঝুঁকি নিয়ে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মধ্য আমেরিকার অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। কখনো নদীপথে আবার কখনো দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে অনিশ্চিত যাত্রা শুরু করেছেন তারা। প্রায় এক মাস ধরে সীমান্তে জড়ো হতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগই হন্ডুরাস, এল সালভাদর ও গুয়াতেমালার নাগরিক। এক অভিবাসনপ্রত্যাশী জানান, এ সফর খুবই কষ্টদায়ক। আর মাত্র কয়েক দিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের এ ঢলকে বহিরাক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। নিরাপত্তা বিঘ্নকারীদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোরও হুমকি দিয়েছিলেন। তবে এ হুমকি থেকে সরে এসে এবার কিছুটা নমনীয় হয়ে ট্রাম্প বললেন, যারাই নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদে কারাবন্দি থাকতে হবে। ট্রাম্প বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই সবকিছু করছি। আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সারা বছরই আমাদের দেশে আসতে চায়। এটা কোনো নিয়ম হতে পারে না। অভিবাসীদের এদেশে আসতে আমরা নিষেধ করছি। তারপরও যদি কেউ প্রবেশের চেষ্টা করে তাহলে তাকে আটক করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিবাসনপ্রত্যাশীদের প্রবেশ ঠেকাতে মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। সীমান্তে দেওয়া হচ্ছে কাঁটাতারের বেড়া। সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ অপরাধ প্রবণতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১