বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৩ October ২০১৮

ঘুরে আসুন কক্সবাজার

কক্সবাজার সংগৃহীত ছবি


জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ (কক্সবাজার)

কক্সবাজার জেলায় রয়েছে বহু দৃষ্টিনন্দন স্থান। প্রাকৃতিক শোভায় সুশোভিত এসব স্থান সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু বর্ণনা উপস্থাপন করা হলো : 

১. কুতুবদিয়া বাতিঘর। ২. হারবাং। ৩. সোনাদিয়া দ্বীপ। ৪. মহেশখালী জেটি। ৫. হিমছড়ি। ৬. রাডার স্টেশন। ৭. বদর মোকাম মসজিদ। ৮. হিলটপ সার্কিট হাউজ। ৯. লাইট হাউজ। ১০. আজগবি মসজিদ। ১১. প্যাগোডা (জাদি)। ১২. কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ১৩. আগ্গা মেধা বৌদ্ধ ক্যাং। ১৪. শুঁটকি রফতানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা। ১৫. লবণ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা।  ১৬. বার্মিজ মার্কেট। ১৭. ঝিনুক মার্কেট। ১৮. শাহ ওমর শাহ (রহ.)-এর দরগাহ। ১৯. গোলাপ চাষ প্রকল্প। ২০. ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক। ২১. ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম। ২২. রামকোট। ২৩. রামু রবার বাগান। ২৪. আইসোলেটেড নারিকেল বাগান। ২৫. ইনানী। ২৬. কানা রাজার সুড়ঙ্গ। ২৭. ঔপন্যাসিক ধীরাজের মাথিনের কূপ। ২৮. বৌদ্ধ ক্যাং। ২৯. নাফ নদীর দৃশ্য। ৩০. টেকনাফ স্থলবন্দর। ৩১. শাহপরীর দ্বীপ। ৩২. আদিনাথ মন্দির। ৩৩. ‘মা’ অষ্টভুজা। ৩৪. মালেক শাহের দরবার শরিফ।

প্রবালের সেন্টমার্টিন

টেকনাফ থানা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে মনোরম দ্বীপ সেন্টমার্টিনের অবস্থান। প্রায় ১৬ বর্গকিলোমিটার জুড়ে প্রবাল পাথরের মেলা, সমুদ্র তীরে সারি সারি নারিকেল বৃক্ষ, দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া সমুদ্রের নীল জলরাশি আর এখানকার আদিবাসীদের বিচিত্র জীবনযাপন- সব মিলিয়ে পর্যটকদের আগ্রহের বিন্দুমাত্র কমতি নেই।

দ্বীপে পা দিলেই বোঝা যায়, একে কেন বলা হয় সুন্দরের লীলাভূমি। বাংলাদেশে যত উল্লেখযোগ্য পর্যটন এলাকা রয়েছে সেন্টমার্টিন তার অন্যতম। দ্বীপটি দৈর্ঘ্যে প্রায় আট কিলোমিটার এবং প্রস্থে কোথাও ৭০০ মিটার আবার কোথাও ২০০ মিটার। সেন্টমার্টিনের উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর। দ্বীপের শেষ মাথায় সরু লেজের মতো আরেকটি অবিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে, যার নাম ছেঁড়াদ্বীপ। সেন্টমার্টিনের অধিবাসীরা প্রায় সবাই জেলে। শুঁটকি তাদের প্রধান ব্যবসা। কিছু কৃষক পরিবার এখানে ধান, ডাল, শাকসবজি উৎপাদন করে। এ ছাড়া পর্যটন শিল্পের সঙ্গে বহু স্থানীয় মানুষ জড়িত। এই দ্বীপের বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় আট হাজার। বর্তমানে মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, পোস্ট অফিস, পুলিশ ফাঁড়িসহ নানান স্থাপনা গড়ে উঠেছে। দ্বীপের সমুদ্র ঘেঁষে একপাশে আছে কচ্ছপের হ্যাচারি। এটি সত্যিই একটি ভিন্ন প্রকৃতির প্রবাল দ্বীপ। অসংখ্য নারিকেল গাছ, কেয়া গুল্ম আর সবুজ বনানী এই দ্বীপকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। পুরো দ্বীপ ঘুরলে মনে হবে নারিকেল বাগান এটি। আপনি চাইলে তৃষ্ণা মেটাতে পারেন নারিকেল জলে। এর একদিকে যেমন প্রবাল প্রাচীর ঘিরে রেখেছে, অন্য দিকে বালুকাময় সৈকত প্রহর গুনছে আপনার অপেক্ষায়। সৈকতের অজস্র লাল কাঁকড়া আপনাকে নিঃসন্দেহে আকৃষ্ট করবে। অবচেতন মনেই আপনি কুড়িয়ে নেবেন বিভিন্ন রকম নুড়ি পাথর আর ঝিনুক। আর অযুত নিযুত সি গালের ওড়াউড়ি তো আছেই আপনার মন মাতাতে।

ছেঁড়াদ্বীপ : বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ছেঁড়া দ্বীপ নামের এ ছোট্ট ভূ-বিন্দুটি অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত ভূখণ্ড। জোয়ারের সময় সেন্টমার্টিন হতে দ্বীপটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এটি স্থানীয় লোকদের নিকট ছেঁড়াদিয়া নামেও পরিচিত। ছেঁড়া শব্দের অর্থ বিচ্ছিন্ন এবং দিয়া শব্দের অর্থ দ্বীপ। জোয়ারের সময় বিন্দু-দ্বীপটি মূল দ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন বা ছিঁড়ে যায়। তাই দ্বীপটির নাম হয় ছেঁড়াদ্বীপ বা ছেঁড়াদিয়া। এ দ্বীপে কোনো মানুষ বসবাস করেন না। জেলেরা দিনের বেলা মৎস্য আহরণ করে এবং রাতে স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন করে। ছেঁড়াদিয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কাঁচস্বচ্ছ জলকেলি। এ দ্বীপের চারদিকের জল এত স্বচ্ছ যে, অনেক গভীরে অবস্থানরত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, প্রবাল ও সামুদ্রিক শৈবাল খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যায়। এমন অপূর্ব দৃশ্য অবলোকনের সুযোগের জন্য ছেঁড়াদ্বীপ পর্যটকদের নিকট অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত।  ভাটার সময় হেঁটে যাওয়া যায়। তবে সময় লাগবে কয়েক ঘণ্টা। ট্রলার বা স্পিড বোটেও যাতায়াত করা যায় ছেঁড়াদ্বীপে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১