চীনে নির্মাণাধীন ৫টি জাহাজ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে আসছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এগুলো পরিবহন ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এরই মধ্যে চীন থেকে বাংলার জয়যাত্রা করপোরেশনের বহরে যুক্ত হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। সংসদ সচিবালয়ে গতকাল রোববার ৫৯তম বৈঠক কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটির সদস্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, মো. হাবিবর রহমান, রণজিৎ কুমার রায়, মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) এবং মমতাজ বেগম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম, সমস্যা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যক্রম এবং বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের  আওতায় চীনে নির্মাণাধীন ৬টি জাহাজের মধ্যে প্রথম জাহাজ ‘বাংলার জয়যাত্রা’ ডেলিভারি প্রাপ্তিপূর্বক বাণিজিক কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। চীনে নির্মাণাধীন অবশিষ্ট ৫টি জাহাজ আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিপিং করপোরেশনের বহরে যুক্ত হবে।

এ ছাড়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কয়লা পরিবহনের নিমিত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আওতায় দুটি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার এবং ১০টি বাল্ক ক্যারিয়ার ক্রয় কার্যক্রম চলমান।

বৈঠকে আরো উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের ক্রমবর্ধমান কন্টেইনারের চাপ সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পৃথক কাজের আওতায় ওই এলাকায় ২৪ হাজার বর্গমিটার আয়তনের কন্টেইনার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কন্টেইনার ইয়ার্ড এলাকায় কন্টেইনার ডেলিভারির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

কমিটি বৈঠকে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের আওতায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের জাহাজ সংগ্রহের জন্য সুপারিশ করে। কমিটি চিত্রা নদী তীরবর্তী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চিত্রা নদীকে কেন্দ্র করে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির সুপারিশ করে।