জেলা সদরে অবস্থিত ভোলা পৌরসভা ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত। ২০২০ সালে ভোলা পৌরসভার শতবর্ষ পূর্তিতে ভোলা পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে রূপান্তরের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছেন বর্তমান মেয়র আলহাজ মনিরুজ্জামান মনির। বিদ্যমান ৩১ দশমিক ৪৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের শহরটিতে বর্তমানে প্রায় লক্ষাধিক লোক বসবাস করছে। এই সরকারের আমলে ভোলা শহরে গৃহস্থালি কাজে গ্যাস সংযোগ প্রদান, গ্যাসভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ, কলকারখানা স্থাপনসহ ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় ভোলা শহরসহ সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক জনবসতি গড়ে উঠেছে। নতুন করে ৯ দশমিক ৪৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা পৌর এলাকা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সম্প্রসারিত এলাকায় বসবাসকারী ৫৩ হাজার ৮৯৪ জন নাগরিক নতুন করে ভোলা পৌর এলাকায় সংযুক্ত হচ্ছে। সম্প্রসারিত এলাকাসহ প্রায় ৪০ দশমিক ৯৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট ভোলা পৌর এলাকার জনসংখ্যা দাঁড়াচ্ছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক। এই বিপুল জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভোলা পৌরসভার সুপরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য এর মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন, অ্যাকশন এরিয়া প্ল্যান এবং ল্যান্ড ইউজ প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। ১৩ জানুয়ারি ২০১১ এবং ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ ভোলা পৌরসভার জনগণের ভোটে পরপর দুবার নির্বাচিত মেয়র মনিরুজ্জামান ভোলা শহরের চিত্র বিস্ময়করভাবে পাল্টে দিয়ে দেশের অন্যতম সুন্দর পৌর শহরে পরিণত করেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ তোফায়েল আহমেদ এমপির প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ভোলা পৌরসভার অবকাঠামো ও সামাজিক উন্নয়নে পৌর এলাকায় ড্রেনেজ, যোগাযোগ, সড়ক বাতি, নান্দনিক ব্রিজ, উন্মুক্ত পাবলিক প্লেস, আধুনিক ওয়াস জোন নির্মাণ করা হয়েছে। ভোলাকে একটি পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারাসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

গত ৯ বছরে ভোলা পৌরসভায় উল্লেখযোগ্য নির্মাণকাজের মধ্যে রয়েছে ফুটপাতসহ প্রায় ৫০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, তিন তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিদন্দন ভোলা পৌর ভবন নির্মাণ, আধুনিক কিচেন মার্কেট নির্মাণ, শহরের ভেতর ছয়টি নান্দনিক ব্রিজ নির্মাণ, ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে শিশুপার্ক, ইলিশ ফোয়ারা, আধুনিক ওয়াস জোন ও শহীদ মিনার নির্মাণ, জেলা পরিষদ পুকুরের পাড় সৌন্দর্যবর্ধন ও বক ফোয়ারা নির্মাণ, সরকারি বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সৌন্দর্যবর্ধন গ্লোব ফোয়ারা নির্মাণ, যুগিরঘোল চত্বরে ফোয়ারা নির্মাণ, মাস্টার রফিকুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জড়াজীর্ণ ভবনের স্থলে তিনতলা সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, দারুল উলুম আশ্রাফিয়া মাদরাসায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নবীপুর ও গাজীপুর সড়কের সঙ্গে সংযোগ সড়ক হিসেবে মাহতাব উদ্দিন মোল্লা সড়ক নির্মাণ, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ভোলা খালের পাড় সুরক্ষা ও বিকল্প সড়ক নির্মাণকাজ চলমান, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ, হেলিপ্যাড পার্ক, ভোলা ট্রেড সেন্টার, ভোলা সরকারি স্কুল মাঠের জিমনেসিয়াম নির্মাণকাজ হাতে নেওয়া হয়েছে, ভোলা খালের নাব্য রক্ষায় খনন ও পাড় সুরক্ষার কাজ এবং উভয় পাড়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। বর্তমান ভোলা শহরে যে কোনো নবাগত প্রবেশ করলেই বিনাবাক্যে বলছেন একটি সুন্দর শহর। দেশের একাধীন সিটি করপোরেশনের চেয়ে সাজানো-গোছানো একটি অনন্য শহর।