আপডেট : ০৪ October ২০১৮
রাজধানীর মিরপুরের কালসী বিহারি ক্যাম্পে গুলি করে ও পুড়িয়ে একই পরিবারের ৯ জনসহ ১০ জনকে হত্যার ঘটনার পাঁচ বছর পার হলেও এতে জড়িত কেউ ধরা পড়েনি। উল্টো বিহারিদের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার ৫ বছর পরও তাই নিহতদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। জানা গেছে, আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হলেও এর নেপথ্যে রয়েছে ভিন্ন ঘটনা। পার্শ্ববর্তী বাউনিয়া বাঁধ বস্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সঙ্গে স্থানীয় যুবলীগের কতিপয় নেতার বিরোধ উসকে দেওয়া হয়। এর নেপথ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ বিহারিদের। বিহারিরা জানান, ২০১৪ সালের ১৪ জুন ভোর সাড়ে ৫টায় শুরু হয়ে সংঘর্ষ চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ সময় দুর্বৃত্তরা মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর সেকশনের পল্লবী কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের কয়েকটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের উপস্থিতিতেই এলাকার চিহ্নিত একদল দুর্বৃত্ত কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিহারি ক্যাম্পের বাসিন্দাদের দাবি, এ সময় দুর্বৃত্তরা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়ায় কেউ ঘর থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপ্যাট্রিয়েশন কমিটির প্রধান আবদুল জব্বার খান অভিযোগ করে বলেন, ‘ক্যাম্প থেকে বিহারিদের উচ্ছেদের জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। যাদের হাতে ‘অ্যান্টি সোশ্যাল এলিমেন্ট’ গুণ্ডা-মাস্তান আছে, তারা এ উচ্ছেদ চান। এটা বিহারি-বাঙালি সমস্যা নয়। তবে এ ইস্যুকে ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। কতিপয় নেতা আছেন-যারা এসব সমস্যা জিইয়ে রাখছেন। এরা বিহারি পল্লীতে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে কোটি টাকা উপার্জন করছেন।’ ২০১৪ সালের ওই ঘটনায় ইয়াসিন আলীর স্ত্রী বেবী আক্তার (৪০), যমজ ছেলে লালু ও ভুলু (১৪), তিন মেয়ে শাহানা (২৪), রোখসানা (১৮) ও আফসানা (২০), শাহানার আড়াই বছরের ছেলে মারুফ এবং ইয়াসিনের বড় ছেলে আশিক (২৫) ও তার স্ত্রী শিখা বেগম (১৮) প্রাণ হারান। আহত হলেও বেঁচে যায় আরেক মেয়ে ফারজানা (১৬)। এলাকাবাসীর মতে বিহারি পল্লীতে নেতৃত্ব নিয়ে বিভাজন রয়েছে। বিহারিদের অধিকাংশ নেতাই বস্তির স্বার্থ সংরক্ষণ না করে নিজেদের আখের গোছানো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এই সুযোগ নেন স্থানীয় দখলদার ও প্রভাবশালীরা।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১