আপডেট : ০২ October ২০১৮
উপকূলীয় বরগুনার শহর, বন্দর, বাজার থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এক টাকার মুদ্রা। এক, দুই, পাঁচ, দশ, পঁচিশ, ও পঞ্চাশ পয়সা তো গল্পের মতো। সরকারি বিধি অনুযায়ী দেশে এখনও এক পয়সা, দুই পয়সা, পাঁচ পয়সা, পঁচিশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা ও এক টাকার প্রচলন রয়েছে। তবে এসকল খুচরা পয়সার ব্যবহার না থাকায় প্রতিনিয়ত ঠকছেন ক্রেতা ও গ্রাহকরা। তফশিলি ব্যাংক সূত্র মতে, ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এক পয়সা, দুই পয়সার ব্যবহার ছিল ব্যাপক। কিন্তু কালের বিবর্তণে এই মুদ্রা দুটির বিলুপ্তি ঘটেছে। এমনকি পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, পঁচিশ পয়সা ও পঞ্চাশ পয়সার মুদ্রা বিলুপ্ত প্রায়। এক টাকার মুদ্রা বিলুপ্তি পথে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে দেশের কোথাও কোনো পণ্য এক টাকার নিচে পাওয়া যায়না। এসকল কারনে এসব মুদ্রার ব্যবহার ক্রমেই হ্রাস পেয়েছে। বাস্তব অবস্থাকে পাশ কাটিয়ে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো পয়সার হিসেবে টক টাইম, এমন চটক্দার বিজ্ঞাপন অহরহ প্রচার করে। টেলিফোন বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, সরকারি যানবাহন, সিনেমা হলের টিকিট এমনকি বিভিন্ন ব্যাংক সেক্টরে এসব মুদ্রার হিসেব এখনও বিদ্যমান। ফলে প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের এসব বিল পরিশোধ করতে গিয়ে মুদ্রা সংকটের কারণে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। বরগুনার বিভিন্ন শহর, বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানীরা ১ টাকা মুদ্রার পরিবর্তে ১টি চকলেট ও ১টি দিয়াশলাই গ্রাহকদের দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে সরকারিভাবে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। আমতলী সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক প্রণব কর্মকার বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত খুচরা মুদ্রাগুলোকে বাজেয়াপ্ত করেনি। বিভিন্ন ব্যাংক, ডাকঘর ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব মুদ্রার ব্যবহার চালু রয়েছে। বাজারে এসব মুদ্রার পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় গ্রাহকদের বাড়তি পয়সা দিয়ে টাকার অঙ্কে হিসেব পরিশোধ করতে হচ্ছে। যা অর্থনীতিতে এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
টেলিফোন বিল, বিদ্যুৎ বিল, বিভিন্ন ব্যাংক হিসেবে দেখা যায়, খুচরা মুদ্রার সংকটের কারণে গ্রাহককে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিল পরিশোধ করতে হয়। যা কখনো মূল্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় না। এভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিভাগের গ্রাহকদের ৬৫ পয়সা, ৮৫ পয়সা অতিরিক্ত দেয়ার ফলে প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের টাকা হিসেবের বাইরে থেকে যায়। জানালেন রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা জয়ন্ত রায়।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১