আপডেট : ০১ October ২০১৮
ভূমিকম্প ও সুনামির আঘাতে বিপর্যস্ত দোংগালা শহরের পরিস্থিতি কী?- তা জানে না ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ। সুলাওয়েসি দ্বীপের প্রাদেশিক রাজধানী পালুর সঙ্গে সংযোগকারী একমাত্র সেতুটি পুরোপুরি ধসে পড়ায় উদ্ধারকারীরা এখনো শহরটিতে পৌঁছাতে পারেননি। স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর শনিবারও বেশ কয়েকবার পরাঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়। এতে আবারো দোংগালা কেঁপে ওঠে। নতুন করে অনেক ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ধসে পড়েছে বলে জানা যায়। ইতোমধ্যে পালু শহরে মৃতের সংখ্যা প্রায় হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে পালুর চেয়ে দোংগালায় মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় মেট্রো টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, তিন লাখ জনগোষ্ঠীর এ শহরটির অধিকাংশই মৎসজীবী। এখানকার অধিকাংশ ঘরবাড়িই সমুদ্রে ভেসে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে মৃতদেহ চাপা পড়ে আছে। ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের পর সেতু ধসে পড়ায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য ভারী যন্ত্রাংশ নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান উইলিয়াম র্যামপ্যানজিলেই। বিবিসি জানিয়েছে, ২০০৪ সালে দেশটির সুমাত্রা দ্বীপের কাছাকাছি সাগরে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের আশপাশের কয়েকটি দেশে প্রায় দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষ মারা যায়। তখন দোংগালা শহরেও অনেক মানুষ মারা যায় ও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। রিং অব ফায়ারের ওপর অবস্থিত হওয়ায় প্রতিবছরই ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পের শিকার হয়।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১