বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৭ September ২০১৮

মেঘনায় দুর্ঘটনার কবলে গ্রিনলাইন

মেঘনায় উত্তাল ঢেউয়ের কারণে গতকাল দুর্ঘটনায় পড়ে ঢাকা-বরিশাল পথে চলাচলকারী দ্রুতগামী জলযান এমভি গ্রিনলাইন-৩ (ওয়াটার ওয়েজ) সংগৃহীত ছবি


পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ ও স্রোতের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে গতকাল বৃহস্পতিবার লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে সকাল ৯টা থেকে এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে দুপুর পৌনে ২টার দিকে লঞ্চ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এদিকে মেঘনায় উত্তাল ঢেউয়ের কারণে গতকাল দুর্ঘটনায় পড়ে ঢাকা-বরিশাল পথে চলাচলকারী দ্রুতগামী জলযান এমভি গ্রিনলাইন-৩ (ওয়াটার ওয়েজ)। ঢেউয়ের তোড়ে গ্রিনলাইনের সামনের অংশের গ্লাস ভেঙে পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন। দুপুর ১২টার দিকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঘটা এ ঘটনার পর বরিশাল থেকে গ্রিনলাইনের গতকালের যাত্রা বাতিল করা হয়।

বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোত ও প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে ঝুঁকি এড়াতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট পারাপার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার মো. মোফাজ্জেল হোসেন একই তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ার পাশাপাশি নাব্য সঙ্কটের কারণে ফেরি চলাচলও ব্যাহত হয়। বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা খালেদ গতকাল দুপুরে বলেন, একদিকে নাব্য সঙ্কটে দীর্ঘদিন ধরে এ রুটে (শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী) ফেরিগুলো স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না; তার ওপর ফেরি ফুল লোডও করা যাচ্ছে না। ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক কম লোড নিয়ে চলাচল করায় পারাপারে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় লাগছে।

১৭টি ফেরির মধ্যে ১১টি দিয়ে পারাপার করানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথের যাত্রীরা ফেরিতে ভিড় করছেন। আর পারাপার ব্যাহত হওয়ায় গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায়।

গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজের যাত্রী বানারীপাড়ার সাবেক পৌর মেয়র গোলাম সালেহ মঞ্জু মোল্লা বলেন, সকাল ৮টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে গ্রিনলাইন। দুপুর ১২টার দিকে মেঘনা অতিক্রমকালে লঞ্চটি উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে। একের পর এক ঢেউয়ের তোড়ে লঞ্চের নিচতলার সামনের অংশের গ্লাস ভেঙে যায়। এতে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। ভাঙা গ্লাসের আঘাতে লঞ্চের সামনে বসা পাঁচ যাত্রী আহত হন।

গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজের বরিশাল কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক শামসুল আরেফিন লিপটন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে তীব্র বাতাস ও উত্তাল ঢেউ ছিল মেঘনায়। ঢেউয়ের তোড়ে গ্রিনলাইনের গ্লাস ভেঙে যায়। আমাদের পক্ষ থেকে আহত যাত্রীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজ-৩-এর চালক মো. নাসির হোসেন গতকাল বিকালে বলেন, লঞ্চটি মেরামতের জন্য নারায়ণগঞ্জের মদনপুর এলাকায় গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজের নিজস্ব ডকইয়ার্ডে নেওয়া হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র বাতাস এবং উত্তাল ঢেউয়ের কারণে গ্রিনলাইনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। গ্লাস মেরামত হলে গ্রিনলাইন আবার নিয়মিত চলাচল করবে।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১