বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৩ August ২০১৮

একজন সফল ভিডিও সম্পাদকের কথা

ভিডিও এডিটর এম এ রশিদ সংরক্ষিত ছবি


বাংলাদেশে কয়েকজন সফল ভিডিও এডিটরের মধ্যে এম এ রশিদ একজন। নাটক, প্রামাণ্যচিত্র, চলচ্চিত্রসহ বেশকিছু জনপ্রিয় কাজ করেছেন তিনি। সবার মন জয় করেছেন সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে। মিডিয়াপাড়ার পরিচিত এই মানুষটির সমসাময়িক কাজের অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ

 

ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার : আপনি বর্তমানে কোন টিভিতে কাজ করছেন? সেখানে কাজের মান কেমন?

এম এ রশিদ :  আমি বর্তমানে দুরন্ত টিভিতে আছি। এখানে অনেক ভালো আছি। দুরন্ত টিভি চ্যানেলের কাজের মান বলতে গেলে ১০০ ভাগ পরিশুদ্ধ। শিশুদের জন্য কাজ করলেও সঙ্গে বাবা-মা, পুরো পরিবার নিয়ে চিন্তা করে একটি প্রোগ্রাম তৈরি করতে হয়। প্রচুর গবেষণা করতে হয় দুরন্ত টিভির প্রত্যেকটি কাজে।

ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার :  হঠাৎ নিজেকে আড়াল রাখার কারণ কী?

এম এ রশিদ : আড়াল ঠিক নয়? এখন ফ্রিল্যান্স কাজটা ছেড়ে দিয়েছি। বর্তমানে পুরো সময়টা টিভি চ্যানেলে দিচ্ছি। তাই আগের মতো আমাকে পাওয়া যায় না।

ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার : বর্তমান বাজারে শোনা যায়, কাজের শেষে নাকি পরিচালকরা টাকা নিয়ে ঝামেলা করেন। এটা কতটা সত্য?

এম এ রশিদ : শুরুর দিকে এ ধরনের ঘটনা অনেক ঘটেছে। সব জায়গায় ভালো-খারাপ আছে। তবে এতটুকু বলব, নামধারী কিছু পরিচালকের কারণে ফ্রিল্যান্স মিডিয়ার আজ বাজে অবস্থা। কাজের মান তো নেই-ই, কাজ শেষে টাকারও মান নেই। শিক্ষানবিস ভিডিও সম্পাদক দিয়ে কাজ করিয়ে ২-৪ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দেয়। এতে করে কাজের মান কতটুকু থাকতে পারে বলুন।

ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার : সম্পাদকের কী কী গুণ থাকতে হবে?
এম এ রশিদ : একজন সম্পাদকের অফুরন্ত ধৈর্য থাকতে হবে। হাজারো ভুল সংশোধনের উদ্যম থাকতে হবে। অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। নিজের কাজকে ভালোবাসতে হবে এবং উপভোগ করতে হবে। দেশি-বিদেশি সিনেমা, নাটক এবং বিভিন্ন টেলিভিশন দেখতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে থাকতে হবে। আলোচনা করতে হবে সেগুলো নিয়ে।

ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার : নতুন ভিডিও সম্পাদকদের কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা কী?

এম এ রশিদ : সবার ক্ষেত্রেই প্রতিবন্ধকতা আছে; আর এটা থাকবেই। যে জিনিস সহজে পাওয়া যায়, কোনো বাধা থাকে না- ওই পাওয়ায় তৃপ্তি পাওয়া যায় না। তাই জীবনে কিছু করতে হলে বাধা আসবেই। সেই বাধা ডিঙিয়ে সামনে যেতে হবে। যারা বাধা ডিঙিয়ে সামনে এসেছে, তারাই সফল হয়েছে।

ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার : আপনার এই পর্যায়ে আসার কারণগুলো কী?

এম এ রশিদ : জীবনে সুনাম অর্জন করতে হলে কিছু জিনিস সবার থেকে একটু আলাদাভাবে ভাবতে হয়। যাকে আমরা সাধারণত মানুষের গুণাবলি বলে থাকি। এই গুণাবলি যাদের মধ্যে বিদ্যমান, তাদের সুনাম সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হবেই। কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও ভালোবাসা থাকতে হবে এবং সফলতা না আসা পর্যন্ত যারা চেষ্টা চালিয়ে যায়- বাধা, বিফলতা তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না। বাস্তব জীবনে সফল হতে কে না চায়! এর জন্য আমাদের সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করে প্রতিটি বিষয়ে চেষ্টা করতে হবে, হতে হবে অধ্যবসায়ী। আর দুটি জিনিসের ওপর কখনো আশা হারানো ঠিক নয়। এক.  নিজের ওপর আস্থা, দুই. নিজের স্বপ্ন।

ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার : ব্যস্ততার মাঝেও সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এম এ রশিদ : আপনাকেও ধন্যবাদ।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১