আপডেট : ০৭ August ২০১৮
টাঙ্গাইলের প্রত্নতত্ত্বের নিদর্শনের মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ অন্যতম। পঞ্চদশ শতকে আদম শাহ বাবা কাশ্মিরী নামে বিখ্যাত এক সুফি ধর্মপ্রচারক এখানে আগমন করে বসবাস করতে থাকেন এবং ১৬১৩ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। এই সাধকের মাজার এই আতিয়াতেই অবস্থিত। তিনি বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ কর্তৃক আতিয়ার জায়গীরদার নিযুক্ত (১৫৯৮ সালে) হয়েছিলেন বলে জানা যায়। ওই সময় কররানী শাসক সোলাইমান কররানীর কাছ থেকে তার ধর্মীয় কার্য পরিচালনার ব্যয়ভার বহনের জন্য বিশাল একটি এলাকা বা মহাল ওয়াক্ফ হিসেবে পান। তাকে এ এলাকা দান করা হলে এ দান বা আতা থেকে সম্ভবত এই পরগণার নাম আতিয়া হয়েছে। বৃদ্ধ বয়সে শাহ বাবা কাশ্মিরীর পরামর্শে তার প্রিয় ভক্ত সাঈদ খান পন্নীকে মোগল বাদশাহ জাহাঙ্গীর আতিয়া পরগণার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। এই সাঈদ খান পন্নীই করটিয়ার বিখ্যাত জমিদার পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। সাঈদ খান পন্নী ১৬০৮ সালে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন। এটি দেলদুয়ার উপজেলা তথা টাঙ্গাইল জেলার সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ। সুলতানি ও মোগল আমলের স্থাপত্য শিল্পরীতির সমন্বয়ে নির্মিত এ মসজিদের পরিকল্পনা ও নির্মাণকাজে নিযুক্ত ছিলেন প্রখ্যাত স্থপতি মুহাম্মদ খাঁ। এ মসজিদটি নির্মাণের পর ১৮৩৭ সালে রওশন খাতুন চৌধুরানী ও ১৯০৯ সালে আবুল আহমেদ খান গজনবী সংস্কার করেন। সুলতানি ও মোগল আমলের স্থাপত্যরীতির সুষম সমন্বয় এ মসজিদে দেখা যায়। বাংলার স্থাপত্য মূলত ইটের তৈরি, কারণ পাথর এখানে সহজলভ্য নয়। তাই বাংলার স্থাপত্য এবং তার অলংকরণ সবই বিকশিত হয়েছে ইটের মাধ্যমেই। আতিয়া মসজিদও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় মসজিদটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। আগের মতো এই মসজিদটি আর নেই। মসজিদটি অতি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১