বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৩ July ২০১৮

মহাসড়ক ও আবাসিক এলাকায় পশুর হাট নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংরক্ষিত ছবি


ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়কে, রেললাইনের ওপরে এবং আবাসিক এলাকায় কোনো পশুর হাট বসবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, রাজধানীতে গরুর হাট বসবে ২২টি। যদি পরবর্তীকালে গরুর হাট বাড়ে তাহলে হবে সর্বোচ্চ ২৯টি। তবে মহাসড়ক এবং আবাসিক এলাকায় কোনো পশুর হাট বসবে না। রেললাইনের ওপরেও কোনো হাট বসতে পারবে না। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা ও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ আগস্ট ঈদুল আজহা পালিত হবে। এ উপলক্ষে প্রত্যেক গরুর হাটে পুলিশ ক্যাম্প এবং র‍্যাব ক্যাম্প থাকবে। হাটগুলো সিসিটিভির আওতায় থাকবে। যদি কেউ অনেক বেশি টাকা নিয়ে চলাচলে নিরাপদ বোধ না করেন সেজন্য হাটগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানি স্কোয়াড টিম থাকবে। জাল টাকা শনাক্ত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ডিএমপি জাল নোট শনাক্তকরণের মেশিন বসাবে।

আসাদুজ্জামান বলেন, এবার পশুর হাটের খাজনার তালিকা মেইন গেটে টাঙিয়ে রাখতে হবে। কারো কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা যাবে না। গরুর হাটের সীমানার বাইরে কোনো হাট বসবে না। যানজট নিরসনে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে।

তিনি বলেন, পশুবাহী যানবাহন কোন হাটে যাবে সেটা ব্যানারে ট্রাকের সামনে টাঙিয়ে রাখতে হবে। তাহলে কেউ জোর করে গাড়ি থামিয়ে অন্য হাটে নিতে পারবে না। এ ছাড়া চামড়া পাচার রোধে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কোনোভাবেই যেন চামড়া পাচার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ঈদুল আজহার সময় যারা ঢাকা ছেড়ে যাবে তাদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্ট্যান্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। গার্মেন্ট শ্রমিকদের পাওনা যথাসময়ে মিটিয়ে দেওয়া এবং প্রত্যেক শ্রমিককে পালা করে ছুটি দিতে হবে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে, বনানী কবরস্থানে এবং টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সর্বস্তরের জনতা শ্রদ্ধা জানাবেন। সারা দেশে কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হবে। এসব কিছু যেন সুন্দরভাবে হয় সেজন্য রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং রাজধানীর বাইরের কর্মসূচি চলাকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

অন্যদিকে গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে ৪টায় কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের মহাসড়কে তখন জঙ্গিবাদী অপতৎপরতা শুরু হয়। সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলে জঙ্গিবাদকে মোকাবেলা করেছে। জঙ্গিবাদ নির্মূলের ন্যায় মাদককেও নির্মূল করব। সে লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদকবিরোধী যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এ যুদ্ধে আমাদের জিততেই হবে। র্যাব কর্তৃক নির্মিত মাদকবিরোধী বিজ্ঞাপন (টিভিসি) ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ প্রচারণা অনুষ্ঠানের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১