বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২০ July ২০১৮

নারীশিক্ষার গুরুত্ব

পবিত্র ইসলাম ধর্মে শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে সংরক্ষিত ছবি


এসএম আরিফুল কাদের

সুস্থ পারিবারিক, সামাজিক ও নাগরিক জীবন গঠনের জন্য প্রত্যেক মানুষের মধ্যে নৈতিকতাবোধ জাগ্রত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। উপযুক্ত শিক্ষালাভই এ লক্ষ্য অর্জনে প্রথম পদক্ষেপ। তাই পবিত্র ইসলাম ধর্মে শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এমনকি ইসলামী শিক্ষাকে ইবাদত কবুলের শর্ত বলা হয়ে থাকে। কেননা ইলমে দ্বীন শিক্ষা ছাড়া আল্লাহর ইবাদত করা কঠিন। তাই দ্বীনি শিক্ষালাভ করা থেকে নর-নারী কাউকে আলাদা করা বা বাদ দেওয়া যাবে না। আল্লাহপাক পুরুষকে যেমন শিক্ষা অর্জনের নির্দেশ দিয়েছেন, তেমনি নারীদেরও শিক্ষা অর্জনের নির্দেশ রয়েছে। কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হচ্ছে” ‘পড়! তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।’ (সূরা আলাক : ১) এমনকি হাদিসেও তার ঘোষণা রয়েছে। “হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুল (সা.) ইরশাদ করেন- ‘ইলমে দ্বীন অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর ওপর ফরজ।’ (ইবনে মাজাহ ও বায়হাকি)। আর সেই ইলমে দ্বীন শিক্ষা করতে নারীদের জন্য প্রয়োজন নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

ইসলামে নারীশিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে নারীশিক্ষার বিকল্প নেই। বিশেষ করে একটি পরিবারকে সুশিক্ষিত করে তুলতে হলে শিক্ষাক্ষেত্রে নারীকে অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোরআন হাদিস যদি আমরা পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাব, নবী (সা.) সর্বপ্রথম নারীদের শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করেছেন এবং এই শিক্ষার বিধান সর্বপ্রথম বাস্তবায়ন করার সুবর্ণ সুযোগ পেলেন রসুলে পাক (সা.)-এর প্রিয় সহধর্মিণী হযরত খাদিজাতুল কুবরা (রা.)। হজরত জুবায়ের ইবনে মুতইম (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, একবার এক মহিলা রসুল (সা.)-এর দরবারে এসে কিছু বিষয় শিক্ষা গ্রহণ করল। বিদায় নিয়ে যাওয়ার সময় রসুল (সা.) তাকে বললেন, আর জানার মতো কিছু থাকলে অন্য সময় জেনে নিও। মহিলাটি আরজ করল, ইয়া রসুলুল্লাহ (সা.)! যদি আপনাকে না পাই অর্থাৎ যদি আপনি দুনিয়ায় না থাকেন, তখন কী হবে? রসুল (সা.) বললেন, আবু বকর (রা.)-এর কাছ থেকে তখন শিক্ষা গ্রহণ কোরো। (বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি)। ওই হাদিস অনুযায়ী বোঝা যায়, জানতে হলে বা শিক্ষা গ্রহণ করতে একটি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়োজন। যদিও সহশিক্ষায় দ্বীনি ইলেম শিক্ষা করা যায়, তবু ফেতনার আশংকা থেকে মুক্ত থাকতে প্রয়োজন মহিলা দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। 

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, ‘আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।’ এতে বোঝা যায়, একটি সন্তান ভালোভাবে গড়ে তুলতে মায়ের ভূমিকা বেশি। মা যদি শিক্ষিত ও আদর্শবান হন, তাহলে সন্তানকে গড়তে পারবেন শিক্ষিত ও আদর্শবান করে। অপরদিকে মা যদি অশিক্ষিত বা বর্বর হন, তাহলে তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। তাই প্রয়োজন ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে একটি আদর্শ দ্বীনি মহিলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিশুকে আদর্শ ও দ্বীনি পরিবেশে প্রতিপালনের দায়িত্ব মা-বাবা উভয়ের। তারই প্রমাণ মেলে এই হাদিসটিতে“ ‘প্রত্যেক শিশু ফিতরাতের (মুসলিম হয়ে) ওপর জন্মগ্রহণ করে, অতঃপর তার বাবা-মা তাকে ইহুদি, নাসারা বা মূর্তিপূজক বানায়।’ (বুখারি ও মুসলিম) 

লেখক : আলেম ও কলামিস্ট 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১