বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৮ July ২০১৮

বাণিজ্য যুদ্ধে ৫০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ২০২০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৫০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে ছবি: সংগৃহীত


যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ২০২০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ৫০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে গত সোমবার এ শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

আইএমএফের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির হুমকি এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়ার ফলে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। চলমান অর্থনৈতিক অবস্থায় বছর শেষে বৈশ্বিক অর্থনীতির অগ্রগতি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে যেতে পারে।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ মারি অবস্টফেল্ড সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমান বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে অর্থনীতির মূলে আঘাত আসছে। সম্পদের মূল্য বাড়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঝুঁকির মুখে পড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির কারণে অর্থনীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা হ্রাসের পাশাপাশি বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে।

চীনের রফতানিযোগ্য ৩৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে ইতোমধ্যেই বিশ্বে এর প্রভাব পড়েছে। সর্বশেষ ট্রাম্প প্রশাসন চীনের আরো ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে। একই সময়ে চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানিযোগ্য পণ্যের ওপর শুল্ক ধার্য করে। ফলে স্টিল, কৃষি এবং গাড়ি নির্মাণ শিল্পে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে। ইতোমধ্যে বিএমডব্লিউর মতো শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্য থেকে ব্যবসা গোটানোর পরিকল্পনা ও কর্মী ছাঁটাই করছে। আগামী বছরে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আরো কর্মী ছাঁটাই হতে পারে।

গত এপ্রিলে আইএমএফ একটি অর্থনৈতিক পূর্বাভাস জানিয়েছিল। সেখানে চলতি বছর এবং ২০১৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির কারণে পণ্য প্রবেশে বাধার সৃষ্টি হওয়ায় বছর শেষে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এপ্রিলের প্রতিবেদনে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের অর্থনীতির যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল তা বর্তমান প্রতিবেদনেও অপরিবর্তনীয়। তবে ইউরো জোনের দেশগুলো, জাপান ও ব্রিটেনের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বছরের শেষের দিকে অর্থনীতি তুলনামূলক কম চাঙ্গা থাকবে। ইতোমধ্যে জাপানের প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যের কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪ শতাংশে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১