ভারত ও বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক বসেছে ঢাকায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় এ বৈঠক শুরু হয়। এতে নয় সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।এই বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে সহযোগিতা এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয় গুরুত্ব পাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশ প্রধান, কোস্টগার্ড প্রধান, র‌্যাব প্রধান, ডিএমপি কমিশনারসহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত রয়েছেন এ বৈঠকে ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলছেন, বৈঠকে নিরাপত্তা সহযোগিতা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, কনস্যুলার সেবা সংক্রান্ত বিষয় এবং জাল মুদ্রা, মাদক ও মানবপাচারের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কীভাবে দমন করা যায় সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে।
কীভাবে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়েও আলোচনা করবেন তারা।

দুই দেশের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে সংশোধিত ট্র্যাভেল এগ্রিমেন্ট ২০১৮ সই হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। যেমন-নির্বিঘ্নে ভিসা আবেদন জমা, ই-টোকেনের বাধ্যবাধকতা না থাকা এবং জ্যেষ্ঠ নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায়ীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দিচ্ছে তারা।
দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠকটি হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাইয়ে নয়া দিল্লিতে। ওই বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক পর্যালোচনার পাশাপাশি সম্পর্ক আরও জোরদারে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছিল।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার সকালে সচিবালয়ে পৌঁছালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাঙ্গণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল ভারতীয় মন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম জানায়।
তিন দিনের সফরে শুক্রবার ঢাকায় আসেন রাজনাথ সিং। শনিবার সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। বিকালে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ভবনের উদ্বোধন করেন তিনি।