আপডেট : ১০ July ২০১৮
‘কতিপয় দুর্বৃত্তের কাছে চিকিৎসাসেবা আজ বন্দি। এদের কর্মকাণ্ডে চিকিৎসাসেবার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। দেশের বেসরকারি হাসপাতালের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। চিকিৎসকদের আচরণও সন্তোষজনক নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি হাইকোর্ট বলেছেন, মানুষ বিপদে পড়লে তিন পেশার লোকের কাছে ছুটে যান- পুলিশ, আইনজীবী ও চিকিৎসক। এখন তিনটি পেশা যদি কিছু দুর্বৃত্তের কারণে ধ্বংস হয়, তবে মানুষ বিপদে পড়বে।’ চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারের চক্ষুশিবিরে ২০ জনের চোখ নষ্টের ঘটনায় জারি করা রুলের শুনানিতে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ গতকাল সোমবার এসব মন্তব্য করেন। শুনানিতে আগের তলব আদেশ মোতাবেক স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন মো. খাইরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত। তার সঙ্গে ছিলেন সুভাষ চন্দ্র দাস। অন্যদিকে ইম্প্যাক্ট হেলথ সেন্টারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমিনুল ইসলাম। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। শুনানির শুরুতে আদালতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি ডা. আবুল কালাম আজাদ ও চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. মো. খাইরুল আলম রুলের লিখিত জবাব দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন আদালত বলেন, ‘লিখিত জবাব দাখিলের জন্য সময় পাবেন। এরপর আদালত সিভিল সার্জনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘চক্ষুশিবির করার আগে আপনার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না?’ জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, ‘না, অনুমতি নেওয়া হয়নি।’ এ পর্যায়ে আদালত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন তাকে দেখিয়ে বলেন, ‘চট্টগ্রামে যা হয়েছে, সেটি দুঃখজনক। এটি এ মামলার সম্পর্কিত নয়। আপনি আছেন, তাই বলছি, মানুষ বিপদে পড়লে তিন পেশার লোকের কাছে যায়- পুলিশ, আইনজীবী এবং চিকিৎসক। এ তিনটি পেশা যদি কিছু কিছু দুর্বৃত্তের কারণে ধ্বংস হয়, তবে মানুষ বিপদে পড়বে। মেয়েটিকে (চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে রাফিদা খান রাইফার মৃত্যু) তো ফিরিয়ে আনা যাবে না। চিকিৎসকরা দেবতা নন। আমাদের (মানুষের) ভুল হবে বলে আমাদের ওপরে আদালত রয়েছে। ভুলটা অন্যায় নয়। কিন্তু ভুলটা জাস্টিফাই (যথাযথ) করার জন্য যদি হরতাল (ধর্মঘট) ডাকা হয়, তবে তা অন্যায়।’ এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি বলেন, ‘আমরাও মহামান্য আদালতের সঙ্গে একমত। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১