বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৬ July ২০১৮

টেক্সাসের আকাশে শব্দহীন সুপারসনিক

পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা

শব্দহীন একটি সুপারসনিক উড়ুক্কু যান নিয়ে কাজ করছে নাসা ছবি : ইন্টারনেট


সুপারসনিক উড়ুক্কুু যান বলতেই আমরা বুঝি এটি এমন একটি উড়ুক্কুু যান যা দেখার প্রয়োজন নেই, আকাশ দিয়ে উড়ে গেলে এর শব্দই জানিয়ে দিয়ে যায়। তবে এবার একেবারে শব্দহীন একটি সুপারসনিক উড়ুক্কু যান নিয়ে কাজ করছে নাসা, যা নির্মাণের পর জনসম্মুখে পরীক্ষা চালানো হবে টেক্সাসের আকাশেই।

এমনটাই জানা গেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শব্দহীন সুপারসনিক উড়ুক্কুু যান নিয়ে বিপ্লবের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেছে নাসা। নতুন এই উড়ুক্কু যান থেকে কোনো সুপারসনিক বুম তৈরি না হওয়ায় এটি শব্দহীনভাবে উড়তে পারবে। আর এ বিষয়ে সফল হলে অ্যাভিয়েশন খাতে এক বিশাল পরিবর্তন চলে আসবে বলে আশাবাদী নাসা।

সম্প্রতি মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, এই শব্দহীন সুপারসনিকটিকে সাধারণ জনগণের সামনেই পরীক্ষা করা হবে। টেক্সাসের উপকূলবর্তী শহর গ্যালভেস্টনের আকাশে ওড়ানো হবে নতুন এই সুপারসনিক যানটি। সেখানেই পরীক্ষা করে দেখানো হবে অন্যান্য সুপারসনিক ওড়ার সময়ে যেই শব্দ হয়, তার চেয়ে অতি সামান্য শব্দ হবে নাসার তৈরি নতুন যানটিতে।

নাসার এই পরীক্ষামূলক প্রকল্পটিকে ‘এক্স-প্লেন’ অথবা ‘লো-ফ্লাইট ফ্লাইট ডেমোনেস্ট্রেটর’ নামে ডাকা হলেও সম্প্রতি এর নতুন নামকরণ করা হয়েছে। সংস্থাটি এখন প্রকল্পটিকে ‘এক্স-৫৯ কিউএসএসটি’ নামে রেখেছে।

নাসার আর্মস্ট্রং ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারের মহাকাশ প্রকৌশলী (অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার) এড হায়েরিং বলেন, ‘এক্স ৫৯’-এর পাখা, যা এটিকে উপরে ওঠাবে এবং এর আয়তনের কারণে আপনি এখনো এখান থেকে শকওয়েভ টের পাবেন। কিন্তু নতুন এই যানটির আকৃতির কাঠামো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে এর থেকে বড় ধরনের কোনো শকওয়েভ জোরাল সুপারসনিক বুম তৈরি করতে না পারে।

ফলে সুপারসনিকের শক্তিশালী বুম বুম শব্দের পরিবর্তে দুইবার সামান্য আওয়াজের থাম্প থাম্প (থাপ্পড়ের মতো আওয়াজ) শব্দ শোনা যাবে। তবে যদি সেটা কেউ শুনতে পারে, জানান হায়েরিং।

নাসার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি নভেম্বরে গ্যালভেস্টনের আকাশে সুপারসনিক যান এফ/এ-১৮ হর্নেট জেট দিয়ে ‘এক্স-৫৯’-এর প্রোফাইল অনুকরণ করা হবে। আর এই পরীক্ষায় যদি কোনো শব্দ পাওয়া যায় তা জানানোর জন্য স্থানীয় ৫০০ বাসিন্দার দল এতে অংশগ্রহণ করবে।

সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সুপারসনিক প্লেনটি বানাতে সম্প্রতি ২৪৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে লকহিড মার্টিন নামের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং বিশেষায়িত একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে নাসা। আশা করা যাচ্ছে ২০২১ সালে এক্স-৫৯কে নাসার কাছে হস্তান্তর করবে লকহিড। আর এটি চূড়ান্তভাবে নির্মিত হয়ে গেলে সুপারসনিকের শব্দের মাত্রা সহনীয় হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে নাসা।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১