আপডেট : ১১ June ২০১৮
দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাত মেলালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল রোববার চীনের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) আয়োজিত সম্মেলন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই দুই নেতা কুশলাদি বিনিময় করেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। সম্মেলনে সংস্থার স্থায়ী আট সদস্য দেশ ছাড়াও আরো চারটি পরিদর্শক দেশের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আটটি দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা এবং মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্য নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্মেলনে উপস্থিত অধিকাংশ দেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করলেও পাকিস্তানের সঙ্গে বসেননি। পাকিস্তান নিজ দেশে অবস্থানরত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না- এমন অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে ভারত। গত বছর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উরি সেনাঘাঁটিতে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামলা চালালে দুদেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়। গত সপ্তাহেই ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, ‘পাকিস্তানকে নিজ দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। তারা বলেছে, তারা সন্ত্রাস বন্ধ করতে চায়। যদি তারা এটা করতে সমর্থ না হয়, তারা কেন প্রতিবেশীদের সাহায্য নিচ্ছে না?’ এসসিও সম্মেলনে ভারত সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও বাণিজ্য সম্প্রসারণে আঞ্চলিক সংযুক্তি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করে। ভারত অনেকদিন ধরেই চাবাহার বন্দর প্রকল্প নিয়ে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। এই প্রকল্প সফল হলে ভারত সহজেই পাকিস্তান হয়ে ইরান এবং আফগানিস্তানে পণ্য পাঠাতে পারবে। এদিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেইন সম্মেলনে আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, দেশটির আসন্ন নির্বাচন পরবর্তীতে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার স্থিতিশীলতা আসবে। তবে পাকিস্তান-চীন ইকোনমিক করিডোরের (সিপিইসি) ফলে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে এমনটা বলেন প্রেসিডেন্ট। উল্লেখ্য, ভারত শুরু থেকেই সিপিইসির বিরোধিতা করে আসছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১