বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১০ June ২০১৮

বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির সন্ধানে

দেশের মানুষ ভালো হোক মন্দ হোক, প্রতিবারই বেছে নিচ্ছে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগকে আর্ট : রাকিব


সত্তর এবং আশির দশকে বাংলাদেশে ফুটবল খেলার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। সে সময় ঢাকার মাঠের দুই ফুটবল পরাশক্তি ছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী ক্রীড়া চক্র। দেশের ঘরে ঘরে ছিল এ দুটি ক্লাবের সমর্থক। ফুটবল মৌসুমে বাড়িতে বাড়িতে উড়ত ক্লাব দুটির পতাকা। সে সময় ঢাকা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে সম্ভবত ষোলোটি দল অংশ নিত। লিগ চ্যাম্পিয়ন হতো হয় আবাহনী, না হয় মোহামেডান। এর বাইরে অন্য দলগুলোর তেমন কোনো অবস্থান ছিল না। আশির দশকের মাঝামাঝি ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবটি শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কোচ গফুর বেলুচ একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণ দিয়ে দলটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কাতারে নিয়ে আসেন। ব্রাদার্সের শক্তিমত্তা দেখে অনেকেই দলটিকে ঢাকার মাঠের তৃতীয় শক্তি হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করেন। কিন্তু ব্রাদার্স আক্ষরিক অর্থে ঢাকার ফুটবলে তৃতীয় শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে পারেনি। লিগ চ্যাম্পিয়নের ক্ষেত্রে সেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান আর আবাহনীর দাপটই অক্ষুণ্ন থাকে। অবশ্য মাঝে দু’একবার ব্রাদার্স ইউনিয়ন যে চমক সৃষ্টি করেনি তা নয়। তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। তেমন ঘটনা অন্য দুয়েকটি ক্লাবও ঘটিয়েছে। যেমন ১৯৭৮ সালের ফুটবল লিগে আবাহনীকে দুইবার হারিয়ে দিয়ে চমক সৃষ্টি করে ওয়ারী ক্লাব। সে সময় মোহামেডান সমর্থকরা আবাহনীর সমর্থকদের ‘ওয়ারী আইল’ বলে টিটকারী দিত। এই নিয়ে পাড়ায় মহল্লায় ঝগড়া-ফ্যাসাদও কম হয়নি। না, ঢাকার ফুটবলের ইতিহাস পর্যালোচনা বা কাসুন্দিঘাটা আজকের এ রচনার উদ্দেশ্য নয়। উপরের অংশটুকু মূল প্রতিপাদ্যের গৌরচন্দ্রিকা মাত্র। একসময় ঢাকার ফুটবল মাঠে মোহামেডান-আবাহনীর বাইরে আরেকটি তৃতীয় শক্তির সন্ধান যেমন অনেকে করতেন, এখন আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরেও তেমনি একটি তৃতীয় বা বিকল্প শক্তির প্রয়োজনীয়তা কেউ কেউ অনুভব করছেন। তাদের বক্তব্য হলো— এই দুটি বড় দল দেশের রাজনীতিতে একচ্ছত্র আধিপত্য সৃষ্টি করায় রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসছে না, দুর্নীতি-দুঃশাসন স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে এবং গণতন্ত্র ও সুশাসন নির্বাসনে যেতে বসেছে। এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার। আর সে জন্যই এই দুই দলের বাইরে একটি তৃতীয় বা বিকল্প রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাব অতীব জরুরি। এ ধরনের কথাবার্তা রাজনৈতিক সমালোচকরা বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছেন। বিশেষ করে ‘সুশীলসমাজ’ নামে অভিহিত সমাজের একটি অংশ থেকে এ ধরনের একটি শক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা খুব জোরের সঙ্গেই বলা হচ্ছে। কিন্তু সে শক্তির আবির্ভাব এখনো ঘটেনি। তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির বিষয়টি সম্প্রতি আবারো সামনে নিয়ে এসেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারার সভাপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। গত ১৯ মে রাজধানীর লেডিস ক্লাবে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তৃতীয় শক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লখ করেন। তার সে বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জনের জন্ম দেয়। তিনি দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলকে কন্ট্রোল করতে পারবে এমন একটি বিকল্প শক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। বিকল্প শক্তি বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন তা নিয়ে একটা অস্পষ্টতা ছিল। সে শক্তি কি রাজনৈতিক অঙ্গন থেকেই আবির্ভূত হবে, নাকি ভিন্ন কোনো উৎস থেকে আসবে- তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। বিষয়টি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী পরিষ্কার করেছেন গত ২৩ মে একটি দৈনিকে প্রকাশিত তার সাক্ষাৎকারে। সেখানে তিনি বলেছেন, বিকল্প শক্তি বলতে কোনো অসাংবিধানিক শক্তিকে বোঝানো হয়নি। বরং নিজেদের যুক্তফ্রন্টকেই বোঝানো হয়েছে। বি. চৌধুরী তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘দেশ পরিচালনায় দুই দলই ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। এ অবস্থায় দেশের মানুষ বিকল্প কিছু খুঁজছে। এ বিকল্প কোনো অসাংবিধানিক শক্তিও নয়। রাজনৈতিক দলই হবে দুই দলের বিকল্প। আমরা যুক্তফ্রন্টকে সেই বিকল্প জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।’ (যুগান্তর, ২৩ মে, ২০১৮)। নিজেদের গঠিত জোট যুক্তফ্রন্টকে দেশের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে চৌধুরী সাহেবরা কতটা দাঁড় করাতে পারবেন বা আদৌ পারবেন কি না, সে প্রশ্ন এখানে অবান্তর। কারণ, তার নিজের দল বিকল্প ধারা, আ স ম আবদুর রবের জেএসডি এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে গত বছরের ডিসেম্বরে। সময় হিসেবে প্রায় ছয় মাস অতিক্রান্ত হতে চলেছে। কিন্তু আত্মপ্রকাশের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া ওই জোটের আর কোনো তৎপরতা এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়ে ওঠেনি। কোনো কোনো সমালোচক অবশ্য মন্তব্য করেছেন যে, তৃতীয় শক্তি নয়, বরং বৃহৎ দুই দলের যেকোনো একটির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার লক্ষ্যে একটি মোর্চা তৈরির প্রয়াস পেয়েছেন তারা। যাক সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাওয়া যাক। আমাদের দেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির প্রয়োজনীয়তার যে কথা বিভিন্ন কর্নার থেকে বলা হচ্ছে, তা কতটা বাস্তবানুগ তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তোলা যায়। বিশেষত দেশের জনগণ সে ধরনের শক্তির উত্থানে কতটা সহযোগিতা করবে, এটি একটি গুরুতর প্রশ্ন। কেননা, অতীতে এ ধরনের উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা মূলত জনসমর্থনের অভাবে আঁতুড় ঘরেই মৃত্যুবরণ করেছে। রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টা এ যাবৎ কম হয়নি। কিন্তু সফলতা আসেনি। এ অসফলতার প্রধান কারণ দেশের জনগণের বড় অংশের দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে যাওয়া। জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে প্রাপ্ত ভোটের হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার পঁচাত্তর শতাংশ মানুষ বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্ত। বাকি পঁচিশ শতাংশের মধ্যে একটি বড় অংশ দল নিরপেক্ষ, বাকিরা অন্যান্য দলে বিভক্ত। ফলে তৃতীয় শক্তির উত্থান সম্ভব হচ্ছে না।

দেশের দুই প্রধান দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা-পূর্বে জন্ম নেওয়া। নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এ দলটি দেশের জনগণের একটি বড় অংশের ভেতরে শিকড় গাড়তে সক্ষম হয়েছে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে এর একটি আলাদা ইমেজ রয়েছে। অন্যদিকে দেশের এক বিশেষ প্রেক্ষাপটে জন্ম নেওয়া দল বিএনপি। ১৯৭৫-এর রক্তাক্ত রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়, তা পূরণের লক্ষ্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। বলা নিষ্প্রয়োজন, জিয়াউর রহমানের ব্যক্তি ইমেজের কারণে দলটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং একাধিকবার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। বিএনপি সৃষ্টির পর থেকে গত চার দশক ধরে এ দুটি রাজনৈতিক দলই দেশের রাজনীতির গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার প্রথম চেষ্টাটি করেন জেনারেল এরশাদ। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখলের পর ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন জাতীয় পার্টি। ওই সময় জাতীয় পার্টিকে দেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন। অবশ্য এ শক্তি এরশাদ যত দিন ক্ষমতায় ছিলেন, তত দিন বহাল তবিয়তেই ছিল। ১৯৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে এরশাদের পতন হওয়ার পর নানা সঙ্কটে পড়ে দলটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। তবে জাতীয় পার্টির মূল অংশটি এরশাদের নেতৃত্বেই আছে। কিন্তু তা দেশের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে দাঁড়ানোর ক্ষমতা রাখে না। বর্তমানে তো দলটি পরিচয় সঙ্কটে ভুগছে। একদিকে তারা নিজেদের ‘প্রধান বিরোধী দল’ দাবি করে, অন্যদিকে সরকারের পার্টনার হিসেবেও আছে। যদিও এরশাদ বলে থাকেন, তার দলই বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরে বিকল্প শক্তি। তবে বাস্তবতা হলো— দেশের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হওয়ার মতো সাংগঠনিক শক্তি বা কাঠামো জাতীয় পার্টির নেই। দেশে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি দাঁড় করানোর জোর প্রচেষ্টা হয়েছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর। আধাসামরিক ওই সরকারের তত্ত্বাবধানে একাধিক রাজনৈতিক দল জন্ম দেওয়ার চেষ্টা হতে দেখা যায়। আর এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ শক্তি। তিনি একটি রাজনৈতিক দল গড়ে তোলার চেষ্টা করেন, যার পেছনে তৎকালীন জরুরি সরকারের মদদ ছিল প্রকাশ্য। কিন্তু অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি পিঠটান দেন। মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় জনগণের উদ্দেশে তৃতীয় ও শেষ খোলাচিঠি দিয়ে তিনি রাজনীতির মাঠে নামার চেষ্টার ইতি টানেন। ওই সময় আরো কিছু রাজনৈতিক দলের জন্ম হতে দেখা যায়। তার মধ্যে ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশীর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল এবং মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের কল্যাণ পার্টি অন্যতম। ফেরদৌস আহমদ কোরেশী বর্তমানে অসুস্থ। তার দলেরও কোনো তৎপরতা এখন আর নেই। আর সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের কল্যাণ পার্টি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অংশীদারিত্ব নিয়ে নামটি এখনো টিকিয়ে রেখেছে।

বিএনপি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ডা. বি. চৌধুরী প্রথমে বিকল্প ধারা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ২০০৬ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপি। মাত্র আট মাসের মাথায় সম্ভবত ২০০৭ সালের জুন মাসে তারা বিভক্ত হয়ে পড়েন। বি. চৌধুরী তার পুরনো দল বিকল্প ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করেন, আর কর্নেল (অব.) অলি এলডিপি নিয়ে এখন ২০-দলীয় জোটের অংশীদার। লক্ষণীয় হলো, তারা যখন একত্রে এলডিপি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন এলডিপিকে দেশের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। কিন্তু পরিণামে দেখা গেল, তারা উভয়েই দুই প্রধান দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবাঁধার জন্য বি. চৌধুরীর প্রাণান্ত প্রয়াসের কথা কেউই অবিদিত নেই। আর কর্নেল (অব.) অলি তো তার স্বনিন্দিত বিএনপির নেতৃত্বেই আছেন। তো সংক্ষেপে এই হলো বাংলাদেশে বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার চেষ্টার ইতিবৃত্ত। দেশে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির দরকার- এটা অনেকেই মনে করেন। কারণ জনগণের সামনে এখন এই দুটি দলের বাইরে কোনো বিকল্প নেই। ফলে কোনো একটিকে অপছন্দ হলে অপরটিকে পছন্দ করতে হচ্ছে। কিন্তু কেন দাঁড়াতে পারছে না তৃতীয় শক্তি? এটি একটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন। অনেকে অনেক কারণ দেখাতে পারেন। তবে প্রধান কারণ হলো— বিকল্প গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বের অভাব। খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার বাইরে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নেতা এখনো জনগণ খুঁজে পায়নি। আর এ কারণেই দেশের মানুষ ভালো হোক মন্দ হোক, প্রতিবারই বেছে নিচ্ছে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগকে। কারণ তারা প্রত্যক্ষ করছে যে, যারা তৃতীয় বা বিকল্প শক্তির কথা বলছেন, তারা অতীতে হয় এই দুটি দলের সঙ্গেই ছিলেন, না হয় এখন যে কোনো একটির লেজুড়বৃত্তি করছেন। ফলে তাদের তৃতীয় শক্তি গড়ে তোলার কথাবার্তা জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। তো এই সময়ে ডা. বি. চৌধুরীর বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষাকে আর যা-ই বলা যাক, বাস্তবসম্মত বলে মনে করা যায় না। তিনি বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে ব্যর্থ বলেছেন ঠিক আছে। কিন্তু গত এক দশক ধরে এই দুটি দলের বাইরে একটি রাজনৈতিক শক্তি দাঁড় করাতে যে তারা নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন, তা কি অস্বীকার করতে পারবেন?

লেখক : সাংবাদিক


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১