আপডেট : ০৫ June ২০১৮
অবিরাম বর্ষা চলছে। জুন মাস এলে কত কী উঁকি দেয়। পরিবেশ দিবস, মাগুরছড়া দিবস, সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস কত কী! এবারো বর্ষায় অন্যায়ভাবে পলিথিনের জটলায় আটকে যাচ্ছে দেশের দম। নালা-খন্দ থেকে শুরু করে বুড়িগঙ্গার মতো ঐতিহাসিক নদীরও নিস্তার নেই পলিথিন থেকে। চলতি রমজান মাসজুড়ে ইফতারসামগ্রী বিক্রিসহ সর্বত্র দেদার ব্যবহূত হচ্ছে পলিথিন। অথচ পলিথিনের বিরুদ্ধে আইন আছে, আছে প্রশাসন। এ বিষয়ে আছে এক জলজ্যান্ত মন্ত্রণালয়। তাহলে পলিথিন পয়দা হচ্ছে কোথায়? পলিথিনের কাঁচামাল আসছে আর উৎপাদিত পণ্য যাচ্ছে কোথায়? যাচ্ছে মাটির তলায়, জলের শরীরে। সবকিছু আটকে ফেলছে লাগাতার। অল্প বর্ষাতেও কীভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বারবার ডুবে যায়, তা তো আমরা ডুবে মরেই বুঝতে পারছি। সম্মানিত মেয়ররা ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতার বিরুদ্ধে নানা নির্বাচনী দাওয়াই বিলিয়েছিলেন। কিন্তু এক বিঘৎ জলাবদ্ধতাও কাটাতে পারেননি। কারণ তারা পলিথিনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারেননি এখনো। পলিথিন এক জ্যান্ত পুঁজিবাদী পাপ। নয়া উদারবাদী বাণিজ্য সাম্রাজ্যের দুঃসহ ক্ষত হিসেবে পলিথিন এ সভ্যতাকে গলা টিপে ধরছে বার বার। ১৯৩৩ সালে এই পলিমার পণ্য আবিষ্কৃত হলেও ১৯৫৮ সাল থেকে ভোক্তার ক্রয়সীমানা দখল করে নেয়। পরিবেশ অধিদফতরের সূত্রমতে, ১৯৮২ সালে বাংলাদেশে পলিথিন বাজারজাত ও ব্যবহার শুরু হয়। পলিথিন গলে না, মিশে না, পচে না। পাঁচশ’ থেকে হাজার বছরে এটি আবারো প্রকৃতিতে রূপান্তরিত হয়। ২০০২ সালের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ঢাকা শহের প্রতিদিন একটি পরিবার গড়ে চারটি পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করত। পরিবেশ অধিদফতরের মতে, ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে দৈনিক ৪৫ লাখ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহূত হতো, ২০০০ সালে ৯৩ লাখ। ২০১৫ সালের ২১ জুন ব্যবসায়ীদের সূত্র দিয়ে একটি সহযোগী দৈনিক জানিয়েছিল, চলতি সময়ে বাংলাদেশে দৈনিক এক কোটি ২২ লাখ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহূত হচ্ছে। দুনিয়ায় প্রতিবছর প্রায় ৬০ মিলিয়ন টন পলিথিনসামগ্রী তৈরি হয়। ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৬(ক) (সংশোধিত ২০০২) ধারা অনুযায়ী, ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকা শহরে এবং একই সালের ১ মার্চ বাংলাদেশে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। পলিথিন নিষিদ্ধকরণ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘...যেকোনো প্রকার পলিথিন ব্যাগ অর্থাৎ পলিথাইলিন, পলিপ্রপাইলিন বা উহার কোনো যৌগ বা মিশ্রণের তৈরি কোনো ব্যাগ, ঠোঙা বা যেকোনো ধারক যাহা কোনো সামগ্রী ক্রয়বিক্রয় বা কোনো কিছু রাখার কাজে বা বহনের কাজে ব্যবহার করা যায় উহাদের উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার দেশে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হইল।’ প্রজ্ঞাপনে বিস্কুট, চানাচুরসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ, সিমেন্ট, সারসহ ১৪টি পণ্যের ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০০২)-এর ১৫(১) অনুচ্ছেদের ৪(ক) ধারায় পলিথিন উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের জন্য অপরাধীদের সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ৬ মাসের কারাদণ্ডের বিধান আছে। আইন অনুযায়ী, ১০০ মাইক্রোনের কম পুরুত্বের পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীর জন্য ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বাজারজাত করলে ৬ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা। মাঝেমধ্যে এ আইন মেনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘লোকদেখানো’ কিছু জরিমানা আর অভিযান চালালেও পলিথিন উৎপাদন থামছে না। পলিথিন যেন আইন, বিচারকাঠামো, সরকার, রাষ্ট্র- সবকিছুর চেয়ে শক্তিময় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কী এক বিস্ময়কর কারণে রাষ্ট্র পলিথিনকে থামাতে ব্যর্থ হচ্ছে। ২০০২ থেকে ২০১৫ অবধি। একটি দুটি নয়, দীর্ঘ ১৩ বছর। এই ১৩ বছরে বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ, ধলেশ্বরী, মেঘনা, পদ্মা, যমুনা, ছোট যমুনা, মনু, সুরমা, কর্ণফুলী নদীসহ শহরের ধারেকাছের নদীপ্রবাহগুলো পলিথিনের আঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। পলিথিন জমতে জমতে নদীর তলা থেকে চামড়া পর্যন্ত দীর্ঘ অভেদ্য স্তর পড়েছে। কোথাও এ স্তর এতই শক্ত যে, বর্ষা মৌসুমেও আটকে যাচ্ছে জলযান। পলিথিন মাছেদের বিচরণ বিজ্ঞানে বাধা দেয়। শৈবাল, অণুজীবসহ জলজ বাস্তুসংস্থান তছনছ করে ফেলে। জলের তাপমাত্রা, স্বাদ, বর্ণ, গন্ধ, বৈশিষ্ট্য সবকিছু বদলে দেয়। পলিথিন মাটিতে দ্রুত মিশতে পারে না বলে এটি মাটির অভ্যন্তরীণ খাদ্যশৃঙ্খলাকে আঘাত করে। অণুজীব ও মাটিতে জন্মানো উদ্ভিদ ও প্রাণীর সহাবস্থানকে যন্ত্রণাকাতর করে তোলে। ধীরে ধীরে মাটির বৈশিষ্ট্য ও গঠনে দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন আনে। পলিথিন জমে জমে মাটির ফসল জন্মানোর ক্ষমতা অনুপযোগী করে ফেলে। পলিথিনের বিপদ কমবেশি প্রচারিত হলেও পলিথিন বিক্রি থামছে না। কোনো একটি পলিথিন কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে আরেকটি চালু হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ, যেটি পলিথিন আইনত নিষিদ্ধ করে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারতের মুম্বাই ও হিমাচল প্রদেশ, তাইওয়ান, আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো ও ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য, কানাডা, ইরিত্রিয়া, রুয়ান্ডা, সোমালিয়া, কেনিয়া ও উগান্ডায় পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পলিথিনকে কি থামানো যাচ্ছে বাংলাদেশে? কেন যাচ্ছে না? এর কারণ খতিয়ে দেখবে কে? গ্রামের ক্ষুদে হাট থেকে শুরু করে বড় শহরের বাণিজ্য বিপণি পর্যন্ত কোথাও? দশম জাতীয় সংসদের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পলিথিন বিষয়ে অভিযোগ জমা হতে শোনা যায়। ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর সংসদীয় কমিটির বৈঠকে নিষিদ্ধ পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহার বন্ধে করণীয় নির্ধারণে ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য টিপু সুলতানকে আহ্বায়ক করে একটি সাবকমিটি গঠিত হয়েছিল। সাবকমিটি বাজার পরিদর্শন ও কয়েক দফা বৈঠক শেষে পলিথিন নিষিদ্ধকরণে করণীয় সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন মূল কমিটির কাছে জমা দেয়। ২০১৫ সালের ৭ মে মূল কমিটির বৈঠকে প্রতিবেদনটি অনুমোদনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে মন্ত্রণালয়কে বলা হয়। কিন্তু পলিথিন থামেনি। দুরদার করে, সবকিছু চুরমার করে পলিথিন নির্ভয়ে প্রশ্নহীন গতিতে বাড়ছে। টিকে থাকছে। পলিথিন টিকে থাকার অন্যতম কারণ বাজার। চলতি সময়ের করপোরেট কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত পুঁজিবাদী বাজারটি সম্প্রসারিত হয়েছে পলিথিনকে কেন্দ্র করে। এই বাজার পলিথিন-উপযোগী। এখানকার পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, বিজ্ঞাপন, ক্রেতা-ভোক্তার রুচি ও চাহিদা, সহজলভ্যতা, লাগাতার ভোগবাদী মনস্তত্ত্ব সবকিছুই মানুষকে পলিথিনমুখী করে তোলে। পলিথিনবিমুখ কোনো জোরদার রাষ্ট্রীয় প্রচার এখনো তৈরি হয়নি। অনেকেই বলবেন, এখন আগের সেই দিন নেই, পদ্মপাতায় গুড় বা কাঁচকি মাছ কেউ বেঁধে দেবে না। তাতে যে ক্রেতার সম্মানহানি হবে! কাঁচকি মাছের গন্ধঅলা পানি পড়ার ভয় বা গুড়ের রস। আজুগিপাতা, শালপাতা, কলাপাতা, শটিপাতা নিয়ে এখন দোকানিরা বসে না। বাজার করতে কেউ বাঁশের খলই, ঝুড়ি, পাটের থলে, নকশা করা কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে ঘর থেকে বেরোয় না। অবশ্য প্রকৃতিতে এখন আর এত লতাগুল্ম নেই যে, এই বিশাল বাজারের চাহিদা সামাল দিতে পারবে। তাই এখন সবকিছু প্যাকেটবন্দি। দোকানের মাংস থেকে ক্রেতা-ভোক্তার মন। সবকিছুই পলিথিনে জড়াতে চায় বা জড়াতে হয়। এ যেন এক অনিবার্য পুঁজিবাদী নিয়তি! পলিথিনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হলে এই অন্যায় পুঁজিবাদী অনিবার্যতাকে প্রশ্ন করতে হবে। ধাক্কা মারতে হবে করপোরেট নিয়ন্ত্রিত পলিথিনমুখী বাজারকে। অনেকে পলিথিনের বিরুদ্ধে পাটকে দাঁড় করিয়েছেন। পাটের নানা পদের ব্যাগ আর কাগজের নানা ধরনের ঠোঙা। পুরনো পত্রপত্রিকা আর কাপড়ের নানা কারবারও করছেন অনেকে। কিন্তু পলিথিনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে এসব পরিবেশ-উপযোগী ঠোঙা ও থলে হয়ে উঠছে ধনীর আরেক শখের কারবারি। দেশের গরিষ্ঠভাগ মেহনতি নিম্নশ্রেণিকে পলিথিনের ভেতর ঠেসে দিয়ে পরিবেশ উপযোগিতাকে বগলে নিয়ে ‘প্রকৃতির নস্টালজিয়া’কে বেচাবিক্রি করার এই ধরনটি ‘বাণিজ্য’ হিসেবে অর্থবহ। কিন্তু ন্যায়পরায়ণতার বিচারে এও তো আরেক অন্যায়। আজ ধনীর যে দুলাল পরিবেশ-উপযোগী পাটের থলে বা কাগজের ব্যাগ হাতে দুলিয়ে অভিজাত বিপণি বিতান থেকে হাসিমুখে বের হয়, তাদের স্মরণে রাখা জরুরি পলিথিন বাণিজ্য কিন্তু টিকে আছে ধনীদেরই ব্যবসা হিসেবে, গরিবের নয়। করপোরেট দুনিয়া পলিথিন বাজার চায় বলেই এটি চাঙ্গা থাকছে, গরিব শুধু পলিথিন কারখানার মজুর আর প্রশ্নহীন ব্যবহারকারী। কী নির্দয় পরিবেশ-যন্ত্রণা! এবারের ২০১৮ সালের ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য করা হয়েছে- ‘পলিথিন প্লাস্টিকমুক্ত এক পৃথিবী’। বাংলাদেশকে পলিথিনমুক্ত করতে হলে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বাজার সবাইকে দায়দায়িত্ব নিতে হবে। একজন ভোক্তা যদি পলিথিন কোনোদিন ব্যবহার না করেন, তাহলে পলিথিন উৎপাদন কমতে বাধ্য। যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পলিথিনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়, তবে ভোক্তা চাইলেও কি পলিথিন খুঁজে পাবেন? পলিথিন রুখতে আমাদের সব পক্ষ ও সব কাজের একটি সক্রিয় সমন্বয় জরুরি। প্রাকৃতিক আঁশের সঙ্গে এই ভূগোলের রয়েছে এক ঐতিহাসিক জনসম্পর্ক। বৈচিত্র্যময় পাট প্রাণসম্পদকে ঘিরে পাটচাষি নারী-পুরুষ, পাটকলের শ্রমিক-মালিক, পাটবাজার, ক্রেতা-ভোক্তা মিলিয়ে পাটনির্ভর প্রায় কয়েক কোটি মানুষের যাপিত জীবন থেকে ছিঁড়েখুঁড়ে উধাও করা হয়েছে পাটের স্মৃতিকথা। বিশ্বব্যাংকের খবরদারিতে সব জলজ্যান্ত পাটকল দুম করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একদিকে পলিথিন নিষিদ্ধ, আরেকদিকে পাটকলও বন্ধ। ধনীদের না হয় দামি পাটের থলে কি কাগজের নানা পদের ব্যাগ আছে। এসি গাড়ি থেকে নেমে অভিজাত বিপণি বিতান হয়ে আবার গাড়িতে। ধনীদের তো আর মেহনতি নিম্নশ্রেণির মতো পাঙাশ মাছ কি ছোট মাছ বা বাজারসদাই করে হেঁটে দৌড়ে ঘর্মাক্ত হয়ে ঘরে পৌঁছতে হয় না। তাই একটি কাগজের প্যাকেটে ধনী ক্রেতার চাহিদা পূরণ হলেও নিম্নশ্রেণির কি তা হয়! অথচ নিম্নশ্রেণির পাটকে নিম্নশ্রেণির কাছ থেকেই সরিয়ে রাখা হয়েছে। জলবায়ু বিপর্যয়ের জন্য যেমন বাংলাদেশ দায়ী নয়, ঠিক তেমনি পলিথিন-সন্ত্রাসের জন্য দেশের মেহনতি নিম্নশ্রেণি দায়ী নয়। পুঁজিবাদী এ পাপকে টেনে এনেছে এবং চাঙ্গা করে চলেছে করপোরেট এজেন্সি মালিকরাই। আইনত এদের বিচার ও শাস্তি হওয়া জরুরি। পলিথিন রুখতে রাষ্ট্রকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আইন ও জনগণ রাষ্ট্রের পক্ষে আছে। আশা করি খুব দ্রুতই পলিথিনের বিরুদ্ধে আমরা জোরদার এক রাষ্ট্রীয় সাড়া দেখতে পাব, পলিথিনে দম বন্ধ হওয়া এই বর্ষাতেই। পাভেল পার্থ পরিবেশবিদ ও গবেষক animistbangla@gmail.com
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১