বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৩ June ২০১৮

সৃষ্টি করতে হবে নতুন চিন্তা ও কর্মধারা

গণতন্ত্র বলতে তারা নির্বাচনতন্ত্র বুঝিয়ে থাকেন আর্ট : রাকিব


তথ্যপ্রযুক্তি ও জীবপ্রযুক্তির বিপ্লব এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর দেখা যাচ্ছে, দুনিয়াব্যাপী মার্কসবাদ ও সমাজতন্ত্রের প্রতি শিক্ষিত লোকদের আগ্রহ শেষ হয়ে গেছে। অনেকে আশা করেছিলেন কোল্ড ওয়ারের অবসানের পর গণতান্ত্রিক চিন্তা ও অনুশীলনের উন্নতি ঘটবে এবং গণতন্ত্রের ইতিহাসে স্বর্ণযুগ দেখা দেবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ১৯৮০’র দশক থেকেই উদারনীতি, অবাধ-প্রতিযোগিতাবাদ, বহুত্ববাদ, এনজিও, সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশন (সিএসও) ইত্যাদির বিস্তার। এসবের মধ্যে গণতন্ত্রকে পরিণত করা হয়েছে শুধু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনে। গণতন্ত্র ধারণা থেকে জনজীবনের আর্থসামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নতির বিবেচনাকে দূরে রাখা হয়। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল, জি-সেভেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ ইত্যাদি দ্বারা প্রচারিত উন্নয়নের ধারণার মধ্যে ন্যায়-অন্যায়ের ও মানবিক গুণাবলির বিষয় বিবেচনা পায় না। গণতন্ত্রকেও দুনিয়াব্যাপী জনগণের কাছে আবেদনহীন করে ফেলা হয়েছে।

বাংলাদেশে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করার সামর্থ্যেরও পরিচয় দিতে পারছে না। স্বাভাবিকভাবেই লোকে কথিত এই গণতন্ত্রের প্রতি আগ্রহহীন ও আস্থাহীন হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্র দিয়ে কী হবে?- এ রকম প্রশ্ন করার লোকের অভাব দেখা যায় না। বাংলাদেশে নির্বাচন উপলক্ষে গণতন্ত্রের নামে হুজুগও এখন আর আগের মতো জমছে না।

বাংলাদেশে সিএসও মহল অত্যন্ত সক্রিয় আছে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি উত্থাপনে। সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত সব আন্তঃরাষ্ট্রিক সংস্থা বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ভীষণভাবে তৎপর এবং তারা উক্ত দাবিগুলো উত্থাপনে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল দলীয় স্বার্থে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে, বিদেশি বৃহৎ শক্তিগুলোকে, সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোকে বাংলাদেশের রাজনীতির অভ্যন্তরে ডেকে নিয়ে আসছে। তারা দলীয় স্বার্থে সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর স্থানীয় দূতাবাসগুলোকে বাংলাদেশের রাজনীতির অভ্যন্তরে ডেকে নিয়ে আসছে। ঢাকায় বৃহৎ শক্তিবর্গের দূতাবাসগুলো টুয়েসডে গ্রুপ নামে সংস্থা গঠন করে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে তৎপর ছিল। বলাবাহুল্য, টুয়েসডে গ্রুপ কাজ করেছে সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে। তারা জনসাধারণকে মনোবলহারা দেখে এখন আর আগের মতো তৎপর নয়। বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে যে রূপ সাম্রাজ্যবাদীরা দিতে চেয়েছিল, গণতন্ত্রের মোটামুটি সেই রকম একটি রূপ বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে একটা পাওয়ার স্ট্রাগল লক্ষ করা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থে অপছন্দের দলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় আর ভারত তার স্বার্থে চায় তার পছন্দের দলকে ক্ষমতায় রাখতে। এদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের তুলনায় অন্য দলগুলো খুব দুর্বল। আর বড় দলগুলো গণতন্ত্রের নামে দেশে প্রতিষ্ঠা করেছে বংশানুক্রমিক উত্তরাধিকারভিত্তিক নেতৃত্ব। উচ্চ শ্রেণির ও উচ্চ মধ্যম শ্রেণির লোকেরা তাদের সন্তানদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রের নাগরিক করে চলছেন। ব্যক্তিগত আলোচনায় তারা বলে থাকেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে viable নয়! যারা সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রে গিয়ে নাগরিকত্ব নিচ্ছেন তাদের কেউ কেউ বাংলাদেশের প্রতি সীমাহীন দরদ নিয়ে বাংলাদেশে সুশাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দৈনিক পত্রিকায় উপসম্পাদকীয় লিখছেন। গণতন্ত্র বলতে তারা নির্বাচনতন্ত্র বুঝিয়ে থাকেন।

যতই প্রচার করা হোক অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের অবস্থা চলমান রাজনীতির ধারায় তৈরি হবে না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও তৈরি হচ্ছে না। নানাভাবে বাংলাদেশে চালানো হচ্ছে নিঃরাজনীতিকরণের কার্যক্রম। পলিটিক্যাল সোসাইটি দুর্বল হচ্ছে। সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনগুলো কি প্রবল হচ্ছে? জুলুম-জবরদস্তি, শোষণ-পীড়ন-প্রচারণা, ঘুষ-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার চলছে, নারী-নির্যাতন, অসামাজিক কার্যকলাপ প্রায় অবাধে চলছে, হত্যা-আত্মহত্যা চলছে, বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে চলছে। এ অবস্থার মধ্যে ১৯৮০’র দশকের শেষ দিক থেকেই চলছে পুরাতন সংস্কার বিশ্বাসের ও ধর্মের পুনরুজ্জীবন। নৈতিক পতনশীলতা চলছে। সমাজতন্ত্রী ও গণতন্ত্রীদের প্রতি লোকের আস্থা কমছে। সুবিধাবাদী চেতনাই প্রবল। সুবিধাবাদীরা স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে। জনসাধারণ ঘুমন্ত। জনগণের মধ্যে মহৎ মানবিক গুণাবলি ঘুমন্ত।

পুরাতন সংস্কার-বিশ্বাসের ও ধর্মের পুনরুজ্জীবনের পেছনে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নানা আয়োজন কাজ করছে। মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন, নারীবাদী আন্দোলন, দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন ইত্যাদি ১৯৮০’র দশক থেকেই বিবিসি রেডিওর মাধ্যমে অত্যন্ত তীব্রতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আরো নানা উপায়ে উসকানিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে ধর্মীয় শক্তিকে জাগিয়ে তুলছে। ভারতে, তুরস্কে, মিসরে ও আরো কোনো কোনো রাষ্ট্রে ধর্মীয় শক্তি ক্ষমতায় এসে গেছে। দুনিয়াব্যাপী নব্য রক্ষণশীলরা ও প্রতিক্রিয়াশীলরা প্রবল হচ্ছে, প্রগতির ধারণা হারিয়ে গেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার সাংবিধানিক আবরণ রক্ষা করেই নির্বাচনের মাধ্যমে ভারতে ধর্মীয় শক্তি ক্ষমতায় এসেছে। বাংলাদেশেও রক্ষণশীলতা, প্রতিক্রিয়াশীলতা ও অসামরিক স্বৈরাচার প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে।  বাংলাদেশের সংবিধানে এখন ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দুটোই আছে। সমাজের স্তরে স্তরে আস্তিকতা-নাস্তিকতা নিয়ে বিরোধও চলছে।

ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পুরাতন পরিত্যক্ত সংস্কার-বিশ্বাস ও ধর্মীয় শক্তি নানাভাবে বাড়ছে। গণতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী ও মার্কসবাদীদের উন্নতি অনেক অনুসন্ধান করেও পাওয়া যায় না। রাজনীতিতে তৎপর গণতন্ত্রী, সমাজতন্ত্রী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা ক্রমে হেফাজতে ইসলাম, তাবলিগ জামাত, কওমি মাদরাসা, মসজিদ, দরগা ও খানকার দিকে ঝুঁকছেন। গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রীদের মধ্যে নৈতিক সচেতনতা কিংবা আদর্শগত বিশ্বস্ততা খুঁজে পাওয়া যায় না।

কিছু লোক প্রবলভাবে ধর্মের অবসান চাইলেই ধর্মের অবসান ঘটবে না। সভ্যতার বিকাশে ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। প্রতিটি ধর্মই উন্মেষপর্বে ও প্রথম পর্যায়ে নিপীড়িত জনগণের জন্য কল্যাণকর ও প্রগতিশীল ভূমিকা পালন করেছে। গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের বেলায়ও একই ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ধর্মের কিংবা আদর্শের অবলম্বন ছাড়া চলতে পারে না। আদর্শহীন অবস্থার মধ্যে ধর্মকে শেষ করে দেওয়ার জন্য যতই চেষ্টা করা হচ্ছে, মানুষ ততই ধর্মের আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।

গণতন্ত্রকে আমূল পুনর্গঠিত করে কিংবা সম্পূর্ণ নবরূপ দিয়ে সর্বজনীন গণতন্ত্রে পরিণত করলে- এবং জনগণের জন্য প্রাণশক্তিসম্পন্ন আদর্শ রূপে সামনে আনা হলে ঘটনাপ্রবাহ সম্মুখগতি লাভ করবে। গণতন্ত্রের জন্য নৈতিক জাগরণ, সেই সঙ্গে কায়েমি স্বার্থবাদীদের মোকাবেলায় অন্তহীন সংগ্রাম দরকার।

মার্কসবাদীরা পুরনো বিশ্বাস ও অভ্যাস নিয়ে চলছেন- যা পরিবর্তিত বাস্তবতায় একেবারেই খাপ খাচ্ছে না। পরাশ্রয়ী চিন্তায় আচ্ছন্ন মন নিয়ে যারা সুবিধাবাদী হয়ে উঠেছেন, যারা আগে মস্কোপন্থি বা চীনপন্থি ছিলেন, তাদের অনেকে এখন বিশ্বায়নের কথা বলে বলে ওয়াশিংটনপন্থি হয়ে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনায় চলছেন, সিএস ও এনজিও করছেন। চিন্তা ও কাজে লুকোচুরি আছে। বিশ্বায়নের নামে সাম্রাজ্যবাদের ভবিষ্যৎই এই ধারার ভবিষ্যৎ- এর স্বতন্ত্র কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বস্তুবাদ, দ্বন্দ্ববাদ, দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ, শ্রেণি, শ্রেণিসংগ্রাম, বুর্জোয়া, প্রলেতারিয়েত, পুঁজিবাদ, মুক্তি, সর্বহারার একনায়কত্ব, বুর্জোয়া চরিত্র, প্রলেতারিয়ান চরিত্র, শ্রেণিচরিত্র, শ্রেণিচ্যুতি ইত্যাদি ধারণার আমূল পুনর্বিবেচনা ও সৃষ্টিশীল চিন্তা ছাড়া অগ্রগতির উপায় হবে না।

বিশ্বায়নের নামে সাম্রাজ্যবাদী ও কায়েমি স্বার্থবাদী মহল থেকে গণতন্ত্র ও আনুষঙ্গিক সব ব্যাপারে যেসব কথা বলা হচ্ছে এবং আদর্শহীনতার, সংস্কৃতিহীনতার, সভ্যতাহীনতার ও কথিত উন্নয়নের যে ধারণা অবলম্বন করে দুনিয়াব্যাপী কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, সেগুলোকে গভীরভাবে না বুঝে জনস্বার্থে কোনো অগ্রগতি সাধন করা যাবে না।

বর্তমানে জনস্বার্থে কাজ করে এমন কোনো বর্ধিষ্ণু শক্তি দুনিয়ার কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি রাজনৈতিক ও বৌদ্ধিক শক্তির কথা বলছি। ফরাসি বিপ্লব (১৭৮৯) থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি (১৯৯১) পর্যন্ত কালে সাধারণভাবে প্রায় সব ভূভাগে মানুষ ছিল পরিবর্তন-উন্মুখ। তখন লোকে ধারণা করত- পরিবর্তন হলে সামনে ভালো হবে। এখন লোকের ধারণা উল্টে গেছে। এখন লোকে মনে করে পরিবর্তন হলে সামনে অবস্থা খারাপ হবে। তখন ছিল প্রগতির যুগ। এখন প্রগতি সম্পর্কে ধারণা হারিয়ে গেছে। কিছু লোকে ধর্মের বিরোধিতা করে, ধর্মনিরপেক্ষতা প্রচার করে নিজেদের প্রগতিশীল বলে দাবি করছেন। তারা গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি দিয়ে চিন্তা করেন না। তাদের কাজের প্রতিক্রিয়ায় ধর্মীয় শক্তি অধিক থেকে অধিকতর সক্রিয় হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ ধর্মের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে।

মানুষ জন্মগতভাবে যে জীবন ও জীবন পরিস্থিতি লাভ করে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে না। সে উন্নততর জীবন ও উন্নততর পরিবেশ আশা করে। বিশেষ বাস্তব অবস্থায় থেকে সে তার চিন্তাশক্তি ও কল্পনাশক্তি দিয়ে সবচেয়ে ভালো, সবচেয়ে সুন্দর, সবচেয়ে উন্নত অবস্থার কল্পচিত্র তৈরি করে। বহুজনের অভিপ্রেত এই কল্পিত বাস্তব সর্বজনীন কল্যাণকামী কোনো কোনো প্রতিভাবান ব্যক্তির প্রচেষ্টায় সমন্বিত রূপ নিয়ে হয়ে ওঠে আদর্শ। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ইত্যাদি এমনিভাবে সৃষ্ট আদর্শ। বিশেষ বিশেষ ঐতিহাসিক বাস্তবতায় ব্যক্তিমত ও সম্মিলিত চেষ্টার মধ্য দিয়ে আদর্শে রূপ নেয়। রাজনৈতিক আদর্শের পরিচয় প্রকাশ পায় রাষ্ট্র ব্যবস্থার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের, বিধি-বিধানের, ভবিষ্যৎ চিন্তার কর্মসূচির ও কার্যপ্রণালির মধ্য দিয়ে। মানুষের ব্যক্তিগত ও সম্মিলিত উন্নতিশীল অস্তিত্বে অপরিহার্য অবলম্বন আদর্শ। বাস্তব ও আদর্শ বিকাশশীল। আদর্শ কর্মসূচি, নেতৃত্ব ও ঐক্য অবলম্বন করে চললে সাধারণ মানুষ- জনগণ শক্তিশালী হয়। আর এসবের অবলম্বন ছাড়া তারা অসহায় ও দুর্বল থাকে। আদর্শহীন অবস্থায় জনসাধারণ অবাধে শোষিত, বঞ্চিত ও প্রতারিত হয়। আদর্শ অবলম্বন করে তারা নিজেদের থেকে, নিজেদের জন্য, নিজেদের কল্যাণে নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে পারে।

আদর্শের প্রশ্নে কায়েমি স্বার্থবাদীদের দৃষ্টিভঙ্গি আর মুক্তিকামী জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি কখনো এক হয় না। কায়েমি স্বার্থবাদীদের ছাড়া বাকি সবার জন্যই আদর্শ অপরিহার্য। জনগণ আদর্শের অবলম্বন চায়, আদর্শের নামে প্রতারণা চায় না। আদর্শ বাস্তবায়িত হয় পর্যায়ক্রমে আদর্শ অভিমুখী পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব দিক লক্ষ করে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কথা ভাবলে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, চলমান রাজনীতি নিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র হবে না, রাষ্ট্র হিসেবেও বাংলাদেশ গড়ে উঠবে না। নতুন চিন্তাধারা ও কর্মধারা স্পষ্ট করতে হবে।

আবুল কাসেম ফজলুল হক

বিশিষ্ট চিন্তাবিদ

সাবেক অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১