আপডেট : ২৮ May ২০১৮
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার নাশকতার অভিযোগের দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা অারেক মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই আদেশ দেন। এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, কুমিল্লার দুই মামলা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছিল। এখন তিনি তিন মামলায় জামিন পাওয়ায় তার কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা থাকলো না। মাহবুব উদ্দিন খোকন আরো বলেন, নড়াইলের একটি, ঢাকার দুটি ও কুমিল্লার অপর একটি মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারর দেখানো হয়নি। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ বলেন, নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লায় করা দুই মামলায় খালেদা জিয়া ছয় মাসের জামিন পেয়েছেন। মানহানির অভিযোগে নড়াইলে করা এক মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি বলে তা খারিজ হয়েছে। এ ছাড়া কুমিল্লার অপর একটি মামলা বাতিল ও জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া একটি আবেদন করেছেন। আবেদনটি একই বেঞ্চের তালিকায় রয়েছে। কুমিল্লার হত্যা মামলাটি অবরোধের মধ্যে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায় একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা হামলায় আট যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা হয়। চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান পরদিন খালেদাকে হুকুমের আসামি করে মামলা করেন। কুমিল্লার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলাটিও নাশকতা নিয়ে। অবরোধের মধ্যে ওই বছরের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামে একটি কভার্ড ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিনই চৌদ্দগ্রাম থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তাতে খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। নড়াইলের আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি দায়ের করা হয় শহীদদের সংখ্যা নিয়ে ‘বিরূপ মন্তব্য’ করার অভিযোগে। নড়াইল জেলা পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান ফারুকী ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর এ মামলা দায়ের করেন। এই মামলা তিনটিতে ২০ মে হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। রোববার তার শুনানি শেষ হয়েছিল। মামলাগুলোর শুনানিতে খালেদার আইনজীবীরা বলেন, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। বয়স্ক নারী হিসেবে তাকে জামিন না দেওয়ার আইনগত কোনো বাধা নেই। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১