আপডেট : ১৮ April ২০১৮
নাসার একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলেছেন, মঙ্গলগ্রহে প্রথম অবতরণকারী একজন নারী হওয়া উচিত। অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার নামে ওই বিজ্ঞানী বিবিসিকে জানান, এতদিন পর্যন্ত যতো জন চাঁদে গেছেন তাদের ১২ জনই ছিলেন পুরুষ। তার মতে, এক্ষেত্রে মেয়েদের সামনে আনা উচিত এবং যেদিন কোন মানুষকে তারা মঙ্গল গ্রহে পাঠাবেন, তার নারীই হওয়া উচিত। প্রায় অর্ধশত বছর আগে রাশিয়া প্রথম একজন নারীকে মহাকাশে প্রেরণ করেন। আর ৪০ বছর আগে নাসা প্রথম নির্বাচন করে একজন নারী নভোচারীকে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো নারী চাঁদে যাননি। নভোচারীদের জন্য বিশাল এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার। তার অফিসে বসে তিনি বিবিসির সঙ্গে কথা বলেন। হিউস্টনে জনসন স্পেস সেন্টারে অ্যালিসনের অফিসে একটা জানালা রয়েছে যেখান থেকে মহাকাশযানের বিভিন্ন মডিউল তৈরির ভবনটির দারুণ দৃশ্য দেখা যায়। বিশাল এই ভবনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের এমন ধরণের সব মডিউল রয়েছে - যাতে করে নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। তিনি বলেন ‘আমার সেন্টার পরিচালক একজন নারী, আমার সাবেক ডিভিশন প্রধান ছিলেন একজন নারী, আমাদের নারী নভোচারীও রয়েছেন। কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত একজন নারীকে চাঁদে পাঠাতে পারিনি। আমি মনে করি মঙ্গলে প্রথম যিনি যাবেন তিনি একজন নারী হওয়া উচিত।’ নাসার একজন নারী নভোচারী কারেন নেইবার্গ ইতিমধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় মহাকাশে কাটিয়েছেন। তিনি বলেন ‘আমাকে যখন ২০০০ সালে প্রথম নভোচারী হিসেবে বেছে নেয়া হলো, তখন আমি ভেবেছিলাম একটা বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হলো যে, আমরাই হয়ত পরবর্তীতে চাঁদে যাবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে আমরা সে সুযোগটা পাইনি।’ নারীরা আদৌ চাঁদে যেতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কারেন বলেন, ‘এটা হবে । তবে এখানে অনেক রাজনীতি চলে, প্রচুর অর্থের দরকার। সুতরাং বিষয়টা যে খুব দ্রুত হবে সেটা মনে হচ্ছে না, তবে একদিন অবশ্যই হবে।’
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১