আপডেট : ৩০ March ২০১৮
পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বন্ডের অপব্যবহারকারীদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে আসন্ন ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজস্ব নীতিমালা, আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মুসক) ও আয়কর এবং মাঠ পর্যায়ে মূসক ও কর সম্পর্কিত নানাবিধ সমস্যা নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কতিপয় ব্যবসায়ী বন্ডের সুবিধা নিয়ে এক পণ্যের নামে অন্য পণ্য আমদানি করছে। এতে দেশীয় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। তাই যারা এভাবে বন্ডের অপব্যবহার করছে তাদের কঠোর হাতে দমন করার জন্য এনবিআরের সব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, বন্ডের অপব্যবহারের কারণে দেশীয় শিল্প বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী বাজেটে স্থানীয় শিল্পের সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, বন্ডের অপব্যবহার রোধে বন্দর এলাকায় কাস্টমস বিভাগকে আরো উন্নত করা হচ্ছে। এনবিআর চেয়ারম্যানের বক্তব্যকে সমর্থন করে এফবিসিআই সভাপতি শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ী সমাজ কলঙ্কিত হচ্ছে। তাই বন্ডের অপব্যবহার রোধে এনবিআরের সাথে এফবিসিসিআই যৌথভাবে কাজ করবে।’ ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত হারে কর দিলে তাদের কোনো ধরনের অশান্তি কিংবা হয়রানি করা হবে না বলেও আশ্বাস দেন এনবিআর চেয়াম্যান। সভায় তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, এনবিআরের অনেক কর্মকর্তা রাজস্ব আহরণের নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছে। এই হয়রানি থেকে তারা মুক্তি চান। আগামী বাজেটে সরকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ শতাংশ বাড়াচ্ছে উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্প্রসারণ হওয়ার কারণে প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়ছে। বাজেটের এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে করের আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সভায় জানানো হয়, আগামী ১২ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৩৯তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও শুল্ক সম্পর্কিত প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।
ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব প্রশাসন হবে ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত হারে কর দিলে তাদের কোনো ধরনের অশান্তি কিংবা হয়রানি করা হবে না। তবে যারা কর ফাঁকি দেয় না,তাদের করের আওতায় আনা হবে। তাদের বিষয়ে কঠোর হবে এনবিআর।
সভায় সভায় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), এফবিসিসিআই সিনিয়র সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, এনবিআর সদস্য কানন কুমার রায়, মো. রেজাউল হাসান, মো. ফিরোজ শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১