এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উপর ক্ষিপ্ত হয়েছে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সংস্থাটির সমালোচনা করে অর্থ সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেয়।
গতকাল রোববার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেয়া বিভিন্ন দেশের পদক্ষেপকে স্বাধীন পর্যালোচনার আওতায় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি। অজিদের সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডব্লিউএইচওর ভূমিকার স্বাধীন পর্যালোচনাও চেয়েছেন তিনি। তার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট।
সংবাদমাধ্যম দেয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিসে পেইনি বলেন, তার দেশ এমন একটি পর্যালোচনা চায়, যার অংশ হিসেবে তদন্ত করা হবে যে চীন কীভাবে উহানে প্রকোপ দেখা দেয়ার শুরুর দিকে ব্যবস্থা নিয়েছিল। তার দাবি, মহামারি পরিস্থিতিতে চীনের স্বচ্ছতা প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের পরিবর্তন হতে পারে।
মরিসে আরও বলেন, ভাইরাসটি নিয়ে আমাদের বিস্তারিত জানা দরকার। একটি স্বাধীন পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে এর উৎপত্তি সম্পর্কে জানা যাবে। এটি মোকাবিলার জন্য নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ শনাক্ত করতে হবে। কতটা খোলাখুলি তথ্য বিনিময় হয়েছে তাও নিরূপণ করতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট বলেন, কিছু ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ উপেক্ষা করতে পারায় অস্ট্রেলিয়া ভাইরাসের বিস্তার সীমিত করতে পেরেছে। তিনি মনে করেন, পোলিও, হাম, ম্যালেরিয়ার মতো রোগগুলো মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সফলতা দেখালেও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তারা বিশ্বকে সহযোগিতা করতে পারেনি।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। শুরু থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করে আসছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সঙ্কট সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছে। তার দাবি, চীনে প্রকোপ শুরু হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নেয়নি এবং তারা বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন ৭১ জন।