সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধকরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট কয়েক লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। তাই পরিবেশ রক্ষায় কিছু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়ে সেন্টমার্টিনে দৈনিক অন্তত ৩ হাজার পর্যটন আসা যাওয়া করার অনুমতি দেওয়া দাবি জানিয়েছে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক)।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় কক্সবাজারে রেডিয়েন ফিস সেন্টারের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত ১২ দফা দাবী উপস্থাপন করেন কক্সবাজার টুয়াক সভাপতি তোফায়েল আহামদ। এতে সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার সম্পূর্ন বন্ধ করা, দ্বীপের ভাঙ্গনরোধে মূলভূখন্ডের ৫০০ মিটার দূরে আধুনিক জেটি নির্মাণ, দ্বীপে উৎপাদিত সৌর বিদ্যূতের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে জেনারেটর ব্যবহার নিষিদ্ধ করাসহ ১২টি দাবী উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় ট্যুর অপারেটর নেতারা বলেন, মূলত কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার জন্য একটি জাতীয় আর্ন্তজাতিক চক্র সেন্টমার্টিনে পর্যটন সীমিতকরণের নামে পুরো কক্সবাজারকে অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। কক্সবাজারে সব কিছু দখল করার যে অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে তারিঅংশ হিসাবে ধীরে ধীরে সব কিছুতে নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে চক্রটি। তাই কক্সবাজারের মানুষকে পর্যটনশিল্পট বাঁচাতে এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন টুয়াকের প্রধান উপদেষ্টা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন টুয়াকের সহ সভাপতি আনোয়ার কামাল, হোসাইন ইসলাম বাহাদুর, সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌলা আশেক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তোহা, যুগ্ম সম্পাদক শফিউল আলম কাজল ও আল আমিন বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আজম, শহিদুল্লাহ নাঈম, মোহাম্মদ ইউচুপ,মো. শিবলি সাদেক, মো. মুসা, জিল্লুর রহমান, আবদুস সাত্তার, সায়েম রহমান অভি প্রমুখ।