বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে সেনা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ায় হত্যাকাণ্ডের পেছনের নেপথ্যরা চিহ্নিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার সকালে বনানী কবরস্থানে পিলখানায় বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
এই হত্যাকাণ্ডের যে তদন্তগুলো হয়েছিল সেগুলোর কোনোটাই পূর্ণাঙ্গভাবে এখনো জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়নি। বিশেষ করে সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছিল সেই তদন্ত এখনো প্রকাশিত হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবে জাতির সামনে প্রশ্ন থেকেই গেছে এই ভয়াবহ ঘটনার পেছনে মূলত কারা ছিল, পরিকল্পনাকারী কারা, এই ঘটনায় কারা লাভবান হয়েছে- এ বিষয়গুলো উদঘাটিত হয়নি। বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, এই দিনটি আমাদের জন্য, জাতির জন্য কলঙ্কময় দিন। এই দিনে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হয়েছিল।
আমরা বিশ্বাস করি, সেনাবাহিনী নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাদের দুর্বল করে দেওয়া, তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়াই ছিল সেদিনের সেই বিদ্রোহের ও হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। আমরা এই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে চাই এবং ঘোষণা করতে বলি। আমরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং গোটা জাতিকে আহ্বান জানাচ্ছি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার শপথ নিতে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। তারা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে ফাতিহা পাঠ করেন। পরে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, রুহুল আলম চৌধুরী, ফজলে এলাহী আকবর, কামরুজ্জামান, শাহজাহান মিয়া মিলন, সারোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান, মাহমুদুল হাসান, আমিনুল ইসলাম, শায়রুল কবির খান এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ।