‘মার খেয়েই শিখব’

পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন

সংগৃহীত ছবি

ক্রিকেট

‘মার খেয়েই শিখব’

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর, ২০১৮

দারুণ উক্তি পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের। বুধবার জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দেওয়া ম্যাচসেরা এই তরুণ পেসার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে। সেখানে তিনি বলেছেন- ‘আমি মার খাব, এরপর ওখান থেকেই শিখব’।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ডেভিড মিলারের এক ওভারে ৫ ছক্কা হজম করার পর গত বিপিএলে তার ওপর দিয়ে টর্নেডো বইয়ে দেন ড্যারেন স্যামি। ইনিংসের শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনকে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান মারেন ৪ ছক্কা ও এক বাউন্ডারি। এরপর থেকেই ছন্নছাড়া বোলিং করছিলেন সাইফউদ্দিন।

পেস বোলিং অলরাউন্ডারের ভূমিকায় দারুণ অস্ত্র হয়ে উঠছেন সাইফউদ্দিন। বুধবার তার পেসে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামে। সব মিলিয়ে ৪৫ রান খরচায় তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন এই পেসার।

সাইফউদ্দিন জানান, ‘মিলার ও স্যামির ওইসব ছক্কার কথা যতদিন ক্রিকেট খেলব মনে থাকবে। তবে এটা মাথায় রেখে ক্রিকেট খেলা যায় না। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে ক্রিকেট খেলতে হয়। সাফল্য পেতে গেলে একটু হোঁচট খেতেই হয়। আমি আসলে সব সময় বিশ্বাস করি- আমার মা বলতেন, একটা ছেলে হাঁটা শিখতে গেলে বার বার হোঁচট খায়। তাই বলে কি তার হাঁটা বন্ধ হয়ে যায়? একই রকম আমিও মার খাব, ওখান থেকেই তো শিখব। আমি যখন অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ দলে খেলতাম, তখন থেকেই ডেথ ওভারে বোলিং করি। হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কয়েকটা ম্যাচে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করতে পারেনি। আশা করি সামনের ম্যাচে এই ধারা সচল রাখতে পারব।’

আগের ম্যাচে ২৯ রান খরচ করে উইকেটশূন্য থাকলেও ব্যাট হাতে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন। বুধবার ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ না পেলেও বোলিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলে বেশ কিছু সিরিজে ছিলেন না তিনি। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফিরেই পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন এই অলরাউন্ডার। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে সাইফউদ্দিন বলেছেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। যেহেতু আমি বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে খেলি, আমার প্রথম কাজই হচ্ছে বোলিংয়ে ভালো করা। বলে উইকেট পেলে বা ইকোনমি ভালো থাকলে খুব ভালো লাগে। পাশাপাশি ব্যাটিংটা করতে পছন্দ করি। চেষ্টা করি দুটোই ভালো করার।’

বুধবারের ম্যাচ নিয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম মাশরাফি ভাই আমাকে আনুক। আমি চাচ্ছিলাম কিছু একটা করে দেখাতে। আমি রুবেল ভাইয়ের অসুস্থতার কারণেই সুযোগ পেয়েছি। চিন্তা করেছি, আমাকে এমন কিছু করতে হবে যেন পরের ম্যাচেও সুযোগ পাই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads