ছবি : সংগৃহীত

পণ্যবাজার

এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে

‘ভ্যালু অ্যাডেড’ মৎস জাত পণ্য উৎপাদনে গুরুত্ব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ এপ্রিল, ২০১৮

২০২১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে মৎস্য খাতের স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে অবশ্যই টেকসই করতে হবে। মাছের স্বয়ংসম্পূর্ণতাকে ধরে রেখে ‘ভ্যালু অ্যাডেড’ মৎস্যজাত পণ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

দেশে কাঁচা ও রান্না করা মাছের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে পারলে ভোক্তারা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি উৎপাদনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাবেন। 
গতকাল শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় মৎস্য খাত : টেকসই, স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও এসডিজি প্রেক্ষিত’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা পরিবেশ দূষণ বিশেষত পানি দূষণ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করা, ভরাট হয়ে যাওয়া নদ-নদী ও হাওর-বাঁওড়ের খননকার্য এবং মৎস্য খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

কর্মশালা উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. গোলজার হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. নির্মল চন্দ্র রায়, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মৎস্য চাষের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে কর্মকর্তা ও বৈজ্ঞানিকদের এলাকা ও পরিবেশভিত্তিক মাছ চাষের প্রযুক্তির আবিষ্কারসহ মাছের রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারেও অবদান রাখার আহ্বান জানান।

পানি দূষণ এবং নদী খননের প্রয়োজনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্তঃমন্ত্রণালয়ভিত্তিক সভার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, নিরাপদ খাদ্য এবং মাছের অভয়াশ্রম নিশ্চিত করতে আমরা উদ্যোগ নেব।’ 

অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে বাংলাদেশের অর্জন এবং মৎস্য অধিদফতরের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দফতরের উপপরিচালক ছালেহ আহমদ। 

দুই ভাগে বিভক্ত কর্মশালার প্রথম পর্বে আসা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উন্মুক্ত আলোচনা এবং সমস্যাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর এবং দ্বিতীয় পর্বে ‘ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ-২’ প্রকল্পের উপস্থাপনা, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তিসেবা, বিভাগওয়ারি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অংশগ্রহণকারী মৎস্য কর্মকর্তারা মৎস্য খাতের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারা টিকিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। কর্মশালায় মৎস্য অধিদফতরের আওতায় সারা দেশ থেকে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারা অংশ নেন। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads