ছবি : সংগৃহীত

পণ্যবাজার

‘ভারী শিল্পের চেয়ে এসএমই খাতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কম’

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল, ২০১৮

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, ভারী শিল্পের তুলনায় এসএমই খাতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেক কম।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব সবুজ এসএমই খাত গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে সবুজ এসএমই কারখানা স্থাপনকারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ প্রণোদনা ও পুরস্কৃত করা হচ্ছে। বর্তমানে কর্মসংস্থানের শতকরা ৭৫ ভাগ অকৃষি খাতে এবং মোট জিডিপির ২৫ শতাংশ উৎপাদনশীল এসএমই খাত জোগান দিচ্ছে বলেও শিল্পমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

ভারত সফররত শিল্পমন্ত্রী উচ্চ পর্যায়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক থ্রিআর ফোরাম উপলক্ষে আয়োজিত ‘সবুজ এসএমই শিল্পায়ন ও জাতীয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি-সার্কুলার ইকোনমির ভূমিকা’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ভারতের মধ্য প্রদেশের ব্রিলিয়ান্ট কনভেনশন সেন্টারে গত বুধবার এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানা যায়।

ভারতের মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডেভেলপমেন্ট কমিশনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পৃথকভাবে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতে অবস্থিত ইউনিডোর আঞ্চলিক অফিসের প্রতিনিধি রেনেভেন বার্কেল এবং চীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিনহুই লি। 
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ফিলিপাইন সরকারের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ক বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক উইলসন লিন ট্রাজেকো, সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি শৈবাল দাস চৌধুরী ও জাপানের প্রতিনিধি ওয়াসি রুই আলোচনায় অংশ নেন। 
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্জ্য ও কাঁচামালের অপচয় হ্রাস, বর্জ্য পুনঃব্যবহার এবং বর্জ্য পুনরায় ব্যবহারের জন্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ বা থ্রিআর কৌশল বাস্তবায়নে এসএমই খাত সবচেয়ে উপযুক্ত ক্ষেত্র। এ খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উদ্যোক্তারা ক্রমেই থ্রিআর কৌশল প্রয়োগে সচেতন হচ্ছে। এর ফলে দেশীয় শিল্প কারখানায় কাঁচামালের অপচয় হ্রাসের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার দক্ষতা বাড়ছে। 
তিনি অর্থায়ন ও কারিগরি দক্ষতার অভাবকে এসএমই খাতের অন্যতম সমস্যা বলে উল্লেখ করেন। এর সমাধানে বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে বলেও আমু জানান।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা পরিবেশবান্ধব সবুজ এসএমই শিল্পায়ন জোরদারের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত জমি, অবকাঠামো, ইউটিলিটি সেবা এবং শক্তিশালী আইনি কাঠামো গড়ে তোলার তাগিদ দেন। একই সঙ্গে তারা এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উদ্যোগে এসএমই খাতে অর্থায়ন বৃদ্ধি, কর অবকাশ সুবিধা সম্প্রসারণ, দক্ষ জনবল তৈরি এবং ব্যবসায়িক সেবা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।

তারা এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোয় পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে জ্ঞান ও তথ্য বিনিময়, প্রচারণা জোরদার, অংশীজনদের নিয়ে সভা-সেমিনার আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads