‘ধানক্ষেতের পাশের আইলে রঙ-বেরঙের ফুলগাছ লাগিয়ে দেশে ১০ শতাংশ ধানের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শেখ শামিউল হক এমন সুখবর জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভিআইপি সভাকক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক কর্মশালায় তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
ড. শামিউল হক বলেন, বাংলাদেশে ধান উৎপাদনে পোকামাকড়ের আক্রমণে ১৮ শতাংশ ফলনের ক্ষতি হয়ে থাকে। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পোকামাকড়ের হাত থেকে ধান রক্ষা করে দেশে অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব। তিনি বলেন, ধানক্ষেতের পাশের আইলে রঙ-বেরঙের ফুলগাছ লাগালে উপকারী পোকামাকড়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। তারা অপকারী কীট-পতঙ্গ ধ্বংস করে ধানের ফলন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। তিনি ধানক্ষেতের পাশের আইলে ফুলগাছের চারা রোপণের পরামর্শ দেন।
কর্মশালার উদ্বোধনী সভায় ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আনছার আলী বলেন, বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের জন্য প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার হয়ে আসছে। যেমন ২০১৪ সালে দেশে ব্যবহূত ৩৯ হাজার ৪৬৪ টন কীটনাশকের মধ্যে শুধু ধানের জমিতে ৮০ শতাংশের বেশি ব্যবহার হয়। এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য কীটতত্ত্বীয় গবেষণা জোরদার করে ধানের ফলন ১০ শতাংশ বৃদ্ধি ও ৫০ শতাংশ রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমানোর কলাকৌশল উদ্ভাবন করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০০ মাঠ প্রদর্শনী করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার প্রভাবে পরবর্তী সময়ে কীটনাশক ব্যবহার বহুলাংশে কমে আসবে। প্রকল্পের মাধ্যমে কমপক্ষে এক হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ব বিভাগের বিজ্ঞানীরা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।