৬০ হাজার টাকা ছাড়াল সোনার ভরি

ফাইল ছবি

পণ্যবাজার

৬০ হাজার টাকা ছাড়াল সোনার ভরি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৫ জানুয়ারি, ২০২০

বছরের শুরুতে ফের বাড়ল সোনার দাম। তা-ও আবার ১৭ দিনের ব্যবধানেই। এতে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট সোনার দাম হয়েছে ৬০ হাজার ৩৬১ টাকা প্রতি ভরি। যা ভরিতে গতকালের চেয়ে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বেশি। 

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বৃদ্ধির বিষয়টি জানিয়েছে। দর বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জুয়েলার্স সমিতি বলছে, বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে সোনার দাম বেড়েছে। তাই জুয়েলার্স সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই অস্থিতিশীল সোনার বাজার। জুলাই ও আগস্ট মাসে পাঁচ দফায় সোনার দাম প্রতি ভরি ৫০ হাজার ১৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮ হাজার ২৮ টাকা হয়েছিল। এরপর গত সেপ্টেম্বর শুধু একদফা কমেছিল। সে সময় প্রতি ভরি সোনার দাম কমে ৫৬ হাজার ৮৬২ টাকা দাঁড়ায়। এরপর আবারো গত ২৪ নভেম্বরে দাম বেড়ে ৫৮ হাজার ২৮ টাকা ও ১৮ ডিসেম্বরের ৫৯ হাজার ১৯৫ টাকা হয়েছিল।

এদিকে নতুন দর কার্যকর হচ্ছে আজ রোববার থেকে। এতে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনা ৬০ হাজার ৩৬১ টাকা, ২১ ক্যারেট ৫৮ হাজার ২৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট সোনার ভরি ৫৩ হাজার ১২ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনা ৪০ হাজার ২৪০ টাকায় বিক্রি হবে। তবে রুপার দাম থাকছে অপরিবর্তিত। ভরিপ্রতি ৯৩৩ টাকায় থাকছে ধাতুটি।

এদিকে, গতকাল পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৫৯ হাজার ১৯৫ টাকা, ২১ ক্যারেট ৫৬ হাজার ৮৬২ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনার ভরি বিক্রি ৫১ হাজার ৮৪৬ টাকা ছিল।

এদিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাংলাদেশেই শুধু নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ সোনার দাম বেড়েছে বিশ্বজুড়েই। যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন আক্রমণে ইরানের সেনা-কর্তার মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক আবহাওয়া ঘোলাটে হওয়ার পরেই বিশ্ব বাজারে সোনার দাম এক লাফে ১ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়।

সোনা ব্যবসায়ী মহলের মতে, এই দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো ব্যবসায়িক কারণ নেই। ফলে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি আর বেশি ঘোলাটে না হলে দাম কদিনের মধ্যেই কিছুটা কমবে।

তবে ইরানের পাশাপাশি সোনার দাম বৃদ্ধির পেছনে আরো কিছু কারণ কাজ করছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। তারা বলছেন, দেশে সোনার দাম বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দর। সোনা আমদানি করতে হয় ডলার দিয়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামে হেরফের না হলেও ডলারের দাম বাড়লে সোনার দাম বেড়ে যায়। এছাড়া চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বিভিন্ন দেশে প্রবৃদ্ধির হার কমে গেছে। স্বাভাবিকভাবে বিনিয়োগও কমে যাচ্ছে। শেয়ারবাজার অস্থির হয়ে উঠছে। এতে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ডলারের বদলে সোনার বেছে নিয়েছে। এছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও সোনা কিনে রাখছেন। এসব কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বাড়তি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads