২০১৮ : মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ

মূল্যস্ফীতি

প্রতীকী ছবি

রাজস্ব

২০১৮ : মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩ জানুয়ারি, ২০১৯

ভোক্তা মূল্যসূচক তথা পণ্যমূল্যে কিছুটা স্বস্তির মধ্যেই শেষে হয়েছে ২০১৮ সাল। বিদায়ী বছরের ১২ মাসে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২০১৭ সালে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ভোক্তা মূল্যসূচক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এ সময় অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ডিসেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট তথা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশে। নভেম্বরে এর হার ছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর আগের বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ হিসাবে মাসিক ও বার্ষিক ভিত্তিতে কমেছে মূল্যস্ফীতি। খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উভয় খাতে মূল্যস্ফীতির হার রয়েছে নিম্নমুখী।

তিনি আরো জানান, জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও সেটি হয়নি। মাসিক হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সাড়ে ৫ শতাংশের নিচেই রয়েছে মূল্যস্ফীতির হার। সামনের মাসগুলোয় এই হার আরো কমে আসবে। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম কমে আসার পাশাপাশি চিনির দাম ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকায় আগামীতে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই বলেও তিনি মনে করেন।

ভোক্তা মূল্যসূচকের প্রতিবেদনে বিবিএস বলেছে, ডিসেম্বর মাসে আগের মাসের তুলনায় চাল, ডাল, শাক-সবজি ও মসলা জাতীয় দ্রব্যের দাম কমেছে। অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতের মধ্যে পরিধেয় বস্ত্রাদি ও শিক্ষা উপকরণের দাম কিছুটা বেড়েছে। বেড়েছে বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা, পরিবহন ভাড়াসহ বেশ কিছু সেবার দাম।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশে। নভেম্বরে এর হার ছিল ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর গত বছরের ডিসেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে ডিসেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশে। নভেম্বরে এর হার ছিল ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর গত বছরের ডিসেম্বরে একই খাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ।

ডিসেম্বরে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশে। নভেম্বরে এর হার ছিল ৬ দশমিক ২১ শতাংশ। এ সময় শহরাঞ্চলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশে। খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশে।

অন্যদিকে ডিসেম্বরে গ্রামীণ অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৯১ শতাংশে। নভেম্বরে এর হার একই ছিল। এ সময় গ্রামীণ অঞ্চলে খাদেপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৮ শতাংশে। পল্লী অঞ্চলে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads