১০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ও বাস্তবতা

ছবি : সংগৃহীত

তথ্যপ্রযুক্তি

১০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ও বাস্তবতা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল, ২০১৯

দিন দিন উন্নত হচ্ছে স্মার্টফোনের ক্যামেরা। এখন বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আলোচনায়। স্মার্টফোন ক্যামেরায় একদিকে শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি যেমন অ্যাপল, স্যামসাং, গুগল আটকে আছে ১২ মেগাপিক্সেলে; অন্যদিকে কিছু কোম্পানি এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন।

১২ থেকে ২০, ২০ থেকে ৪৮- সম্প্রতি এমন ঘোষণা এলো যে, স্মার্টফোনে আসবে ১০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। বিষয়টি বাহবা পাওয়ার মতো। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, আসলেও কি স্মার্টফোনে ১০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সম্ভব?

স্মার্টফোনের জন্মের পর থেকে ক্রমাগত উন্নয়ন হয়েছে। গড়ন, কাঠামোর দিক থেকে স্মার্টফোন এখন একটি আদর্শ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমান স্মার্টফোনের কাঠামোতে আর মৌলিক পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব বলেই মনে করা হয়। তাই এখন স্মার্টফোনের কোনো ক্ষেত্রে উন্নয়নের আগে এই কাঠামোকে ঠিক রেখেই চিন্তা করতে হয়। আরো ভালো ক্যামেরা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাঠামোগত অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় স্মার্টফোনের পুরুত্ব।

কারণ, ১২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেটআপ করতেই ফোনের পেছনে দেখতে হয় বিশাল ক্যামেরা বাম্প। তাই ধারণা করা হয়, ১০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যে বিশাল বাম্প সৃষ্টি করবে সেটি হবে দৃষ্টিকটু ও বাস্তবতাবিবর্জিত।

তাহলে কি ১০০ মেগাপিক্সেলের বিষয়টি মিথ্যা? স্মার্টফোন ক্যামেরায় ১০০ মেগাপিক্সেল কেবল সম্ভব হবে যদি সেন্সরে পিক্সেলকে ছোট করে দেওয়া যায়। এই প্রযুক্তিকে পিক্সেল বাইনিং বলে। এই প্রযুক্তিতে ক্যামেরা সেন্সরে বড় পিক্সেল ব্যবহার না করে ছোট ছোট অনেকগুলো পিক্সেল ব্যবহার করা হয়। ১০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেটআপ করতে হলে পিক্সেলের সাইজকে নামিয়ে আনতে হবে ০.৩ বা ০.৪ মাইক্রনে।

প্রসঙ্গত, অ্যাপল, স্যামসাং ও গুগলের ক্যামেরা সেন্সরে ১.৪ মাইক্রন সাইজের পিক্সেল ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, কাগজে-কলমে পিক্সেল বাইনিং প্রযুক্তির ১০০ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা আইফোন, গুগল পিক্সেল বা স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টেনের ১২ মেগাপিক্সেলের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারবে কিনা তাই এখন দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads