শেরপুর-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের কৃষিজমি বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। এ ছাড়া গত পাঁচ বছরে তার আয় ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে। তবে মৎস্য উৎপাদন ও বিক্রি করে তার আয় আগের তুলনায় এক তৃতীয়াংশের বেশি কমে গেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনের বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণায় আতিউর রহমান আতিক নিজেকে ‘দুঃখিনী মায়ের সন্তান’ হিসেবে দাবি করে বক্তৃতা দিতেন, চাইতেন সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের সহানুভূতি ও সহমর্মিতা। ওই সময় বিভিন্ন সভা-সমাবেশে নিজের সহজ-সরল জীবনযাপনের কথা বর্ণনা করে নিজেকে একজন অর্থবিত্তহীন মানুষ হিসেবে দাবি করতেন তিনি। ভোটাররাও তাকে নির্বাচিত করেন। কিন্তু সেই সংসদ সদস্য আতিক এখন বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক। এখন তার বহুতলবিশিষ্ট বাড়ি, গাড়ি সবই আছে।
হলফনামা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে আতিউর রহমানের কোনো আয় ছিল না। কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ওইসব খাতে তার বার্ষিক আয় হয় যথাক্রমে ৫ লাখ ৯১ হাজার ৫১৭ টাকা ও ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা। একইভাবে ২০০৮ সালে চাকরি (সম্মানী ভাতা) খাতে তার কোনো আয় ছিল না। কিন্তু ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ওই খাতে তার আয় হয় যথাক্রমে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা। ২০১৪ সালে মৎস্য উৎপাদন ও বিক্রি করে তার আয় হয় এক কোটি টাকা। কিন্তু ২০১৮ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ টাকা।