ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পর হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। প্রকারভেদে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কেজি দরে। অতিরিক্ত পঁচে যাওয়া পেঁয়াজের প্রতি ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়।
আজ রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে তবে অন্যান্য মালামাল আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। আগামীকাল সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৪ ও ১৫ তারিখের রপ্তানি অনুমতি পাওয়া পেঁয়াজ পুনরায় দেশে আমদানি হতে পারে বলে বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন।
এদিকে শনিবারের আমদানিকরা পচা পিয়াজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে আমমদানিকারকেরা। তারা বলছেন, তাদেরকে অর্ধ কোটি টাকার লোকসান গুণতে হবে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানি কারক শাহিনুর ইসলাম জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর রপ্তানি অনুমতি পাওয়া পেঁয়াজগুলো শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করেছে। এদিন ভারত থেকে ১১টি ট্রাকে মোট ২৪৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, ৫ দিন ধরে পেঁয়াজগুলো সীমান্তের ওপারে আটকা পরে থাকায় এবং দেশে প্রবেশ করতে না পারায় অতিমাত্রার গরম ও বৃষ্টিতে ভিজে পেঁয়াজগুলো পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি ট্রাকের ৭৫ শতাংশ পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার রাফিউল আলম বলছেন, হিলিতে পেয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।