মিষ্টি খেয়েই পানি নয়
ঘরে মিষ্টি থাকুক অথবা বাড়িতে অতিথি মিষ্টি নিয়ে আসুক, কম-বেশি মিষ্টি তো খাওয়াই হয়। মিষ্টি খেয়েই পানি খাওয়ার অভ্যাসটি আমাদের সহজাত ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ, মিষ্টি ও পানির এই যুগলবন্দির পরিণতি ভয়ঙ্কর। গবেষকদের মতে, মিষ্টি খাওয়ার পর পানি খাওয়ার অভ্যাস রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার সুরিনামে একটি গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা। তারা প্রমাণ পেয়েছেন, যারা মিষ্টান্ন দ্রব্য খেয়ে পানি পান করেছিলেন তাদের ব্লাড সুগারের পরিমাণ যারা পানি খাননি তাদের চেয়ে বেশি। আর এই কাজ অনবরত চলতে থাকলে তাদের ব্লাড সুগার আক্রান্ত বা ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিসের প্রবণতা আছে তাদের জন্য এটি আরো বিপজ্জক হতে পারে। গবেষকরা আরো সতর্ক করে বলেছেন, খাবার খাওয়ার সময় পানি খাওয়ার প্রবণতাও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে খুব বেশি প্রয়োজন হলে খুব সামান্য পরিমাণ পানি খাওয়া যেতে পারে। তাদের মতে, খাওয়ার আধ ঘণ্টা পর পানি পান করা সবচেয়ে ভালো। সূত্র : হেলথ সায়েন্স।
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা পুরুষদের চেয়ে নারীদের বেশি
সোসাইটি ফর উইমেনস হেল্থ রিসার্চের গবেষণায় বলা হয়, ৩০ থেকে ৩৯ বছরের মহিলারাই সব থেকে বেশি কষ্ট পান মাথা ব্যথায়। আর মাইগ্রেনে পুরুষের তুলনায় তিন গুণ বেশি আক্রান্ত হন মহিলারাই। গবেষণায় বলা হয়, মাথা ব্যথা অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। নতুন এই গবেষণায় বলা হয়েছে, মূলত দুটি কারণে মহিলারা মাইগ্রেনে আক্রান্ত হন- ক) সংসার, কর্মক্ষেত্র এবং সামাজিক নানা দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে। খ) মহিলাদের শরীরে এস্ট্রোজেন ও অন্যান্য সেক্স হরমোনের প্রভাবের ফলেও মাইগ্রেনের ব্যথা হয়।
বার বার ডাক্তার পরিবর্তনে মৃত্যুঝুঁকি
ইউনিভার্সিটির অব এক্সটার অধ্যাপক ফিলিপ ইভান্স বলছেন, মনে রাখতে হবে যত্নের ব্যাপারটা তখনই ঘটে, যখন রোগী এবং চিকিৎসকের সাক্ষাৎ নিয়মিত হয়। এর ফলে তারা একে অপরকে জানতে এবং বুঝতে পারে। এভাবে রোগী ও ডাক্তারের সংযোগের ফলে রোগীর মনেও সন্তুষ্টি তৈরি হয়। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব রোগী একই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেন অর্থাৎ যখন-তখন চিকিৎসক বদলান না, তাদের মৃত্যুর হার কম। গবেষণা বলছে, দুই বছর ধরে একই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যুর হার অন্য রোগীদের তুলনায় কম। তাই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়াটাই ভালো। ইউনিভার্সিটি অব এক্সটার গবেষকরা বলছেন, মানুষের চিকিৎসার যে ব্যবস্থা রয়েছে তাতে করে জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই সম্ভাবনাকে অবহেলা করা হয়। ৯টি দেশ- ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ২২টি গবেষণার ফলের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি বিএমজে ওপেনে প্রকাশ করা হয়েছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল