জেলার নড়িয়া উপজেলার মধ্যচাকধ গ্রামে দাম্পত্য কলহের জের ধরে নববিবাহিতা স্ত্রীকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে ডাস্টবিনে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে স্বামী। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নড়িয়া থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ ঘাতকের মাকে আটক করেছে।
নিহতের মামা ইদ্রিস বেপারি ও নড়িয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চণ্ডিপুর গ্রামের মৃত আ. মান্নান সেখের মেয়ে ইভা আকতারের (২০) সঙ্গে মধ্যচাকধ গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ছৈয়ালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে ইভার বাবা আ. মান্নান সেখ মারা যান। এ অবস্থায় ইভার মা রোকেয়া বেগম অন্য জায়গায় বিয়ে করে ইভাকে নানাবাড়ি রেখে চলে যান। ইভার নানি নাতনিকে যোগপাট্টা গ্রামের পলাশ নামে এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পরও দেলোয়ার ছৈয়ালের সঙ্গে ইভার যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। এ নিয়ে ইভার সঙ্গে পলাশের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। কিছুদিন পর ইভা স্বামীকে ফেলে মধ্যচাকধ গ্রামে নানাবাড়ি চলে আসেন।
দুই মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দেলোয়ার ছৈয়ালকে বিয়ে করেন ইভা। এরপর থেকে দেলোয়ার ছৈয়াল ইভার নানাবাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। সোমবার বিকালে সে ইভাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নানাবাড়ি থেকে নিয়ে যায়। এরপর ইভাকে পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদ আলী মোড়লের বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী ডাস্টবিনে ফেলে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে নড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় আশপাশের লোকজন ইভার লাশ বলে শনাক্ত করে। পুলিশ ইভার নানি মনোয়ারা বেগমকে খবর দিয়ে এনে ইভার লাশ বলে নিশ্চিত হয়।
নড়িয়া থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, দাম্পত্য কলহের জের ধরে ইভাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতকের মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। দেলোয়ারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।