অপরাধ

স্কুলে যাওয়ার পথে ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

  • ''
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর, ২০২৩

আব্দুল মান্নান পল্টন,ময়মনসিংহ ব্যুরো,

ময়মনসিংহের ভালুকা  বাটাজোড় বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে  সোমবার দুপুরে  ভালুকা উপজেলার বাটাজোড় এলাকায়। নিহত রাখিয়া সুলতানা রিয়া (১৫) উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের বাটাজোড় দক্ষিণপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদের মেয়ে।

সরজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোমবার দুপুরে রিয়া স্কুলে যাওয়ার পথে  মুখোশধারী এক যুবক তার পিছু নেয়। বাটাজোড় এলাকায় পৌঁছানোর পর পেছন থেকে হামলা চালিয়ে রিয়াকে চাপাতি দিয়ে কোপাতে শুরু করে মুখোশধারী ওই যুবক।  এসময় রিয়া জীবন বাচাতে  দৌড়াতে শুরু করে।  দৌড় দিয়ে রক্ষা পায়নি ওই কিশোরী দুবৃত্ত  যুবক পিছন  থেকে রিয়ার ঘাড়, পিঠসহ বিভিন্ন ¯স্থানে কুপিয়ে  রিয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন রিয়াকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসক রাকিব হাসান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটি মারা গেছে। নিহতের ঘাড়, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

 স্থানীয় বেশ কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায় এক বছর আগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার মাওশা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে সৌদি প্রবাসী রিপন মিয়ার সাঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া রিয়াকে রেখে বিয়ের পরদিন প্রবাসে চলে যায় স্বামী রিপন। স্বামী বাড়িতে না থাকায় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে প্রায়ই কলহ চলত রিয়ার। রিয়ার শাশুড়ি খতেমন নেছা তার ওপর নির্যাতন চালাত। এমনকি কয়েলের আগুন দিয়ে হাত পুড়িয়ে দেওয়ার মতো নির্যাতনও করা হয় বলে অভিযোগ আছে। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ছয় মাস আগে বাবার বাড়িতে চলে যায় রিয়া।

স্বামীর বাড়ির লোকজন বারবার চেষ্টা করলেও নির্যাতনের ভয়ে রিয়া ওই বাড়িতে যেতে রাজি হয়নি। এরপর আবার স্কুলে যেতে শুরু করে রিয়া। পরিবারের পক্ষ থেকে রিপনের পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় সেই সংসারে আর রিয়াকে দেওয়া হবে না। আবারও নিয়মিত স্কুলে যাওয়া শুরু করে রিয়া। ভালুকা মডেল থানার . কামাল হোসেন জানান মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীকে শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads