সৌন্দর্য বেড়েছে হাতিরঝিলে

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

সৌন্দর্য বেড়েছে হাতিরঝিলে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ এপ্রিল, ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনের কারণে দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটলেও প্রকৃতিতে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকায় বায়ুদূষণ যেমন কমছে, তেমনি প্রকৃতির ওপর পড়ছে ইতিবাচক প্রভাব। ‘রাজধানীর অক্সিজেন’-খ্যাত হাতিরঝিলেও এর প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।

গতকাল হাতিরঝিল এলাকা সরেজমিন দেখা গেছে, সেখানে চলাচলকারী ওয়াটার ট্যাক্সিগুলো বন্ধ রয়েছে। এ জন্য সেখানকার পানি স্বচ্ছ ও টলমল দেখাচ্ছে। ২০১৬ সালের শেষ দিকে হাতিরঝিলে চলাচল শুরু করে ‘ওয়াটার ট্যাক্সি’। হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এ ট্যাক্সিগুলো এফডিসি মোড় থেকে বাড্ডা সংযোগ সড়ক ও রামপুরা সেতুর মধ্যে যাতায়াত করে। কিন্তু লকডাউনের কারণে এখন তা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সার্কুলার বাসও। লকডাউনের মধ্যেও অনেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসছেন। তবে ঘুরতে আসা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই সেখানকার আশপাশে বসবাস করেন। সারি সারি গাছের ছায়ায় বসেছিলেন তারা। কিন্তু অন্য সময়ের তুলনায় লোক সমাগম খুবই কম। তাই বিভিন্ন পাখির ডাকের সঙ্গে কোকিলেরও ডাক শোনা যাচ্ছিল। হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা বড় মগবাজারের বাসিন্দা মো. সদরুল আলম বলেন, ‘আমি বেসরকারি চাকরিজীবী। আর আজ আমার অফিস বন্ধ। এ জন্য হাতিরঝিলে বেড়াতে এসেছি। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন অনেক নিরিবিলি। এ ছাড়া পানিও টলমলে।’

হাতিরঝিলে প্রবেশ করলে গ্রীষ্মকালীন ফুল সোনালু আর জারুল চোখে প্রশাস্তি এনে দিচ্ছে। রাস্তার দুই ধারে কিছু দূর পর পরই বেগুনি রঙের জারুল ফুল বাতাসে দোল দিচ্ছে।

মৌচাক-মগবাজার উড়ালসড়ক সংলগ্ন স্থানের তিনটি স্থানে সারি সারি গাছ। ফুটে রয়েছে লাল-হলুদ রঙের ফুল। চার কোনা প্লাস্টিকের পাইপের ফ্রেমের মধ্যে লাগানো হয়েছে গাছগুলো। ৮ থেকে ১০টি করে পাইপের ফ্রেম একসঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন লম্বা ভাসমান বাগান। তবে পানির দুর্গন্ধ দূর করার জন্য এটা করা হলেও এখনো তা কার্যকর হয়নি।

পশ্চিম রামপুরার মহানগর এলাকার বাসিন্দা মো. মোবারক বলেন, ‘হাতিরঝিলের ওপর চাপ কমে যাওয়ায় পানি যেমন স্বচ্ছ হয়েছে, তেমনিভাবে প্রকৃতিও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। লকডাউন না থাকলে অনেকেই ফুল ছিড়ে নিয়ে যায়। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না।’ হাতিরঝিল এলাকাটি ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি উদ্বোধন ও জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়। এর ফলে রাজধানীর তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও মগবাজার এলাকার বাসিন্দাসহ এ পথ দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads