সৌন্দর্য ফিরেছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে

সৌন্দর্য ফিরেছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সৌন্দর্য ফিরেছে রাজশাহীর পদ্মাপাড়ে

  • রাজশাহী ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১১ মার্চ, ২০১৯

রাজশাহীর পদ্মাপাড়ের হারানো সৌন্দর্য স্বরূপে ফিরেছে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে সুন্দর ও পরিপাটি হয়েছে পদ্মাপাড়। রাজশাহীবাসীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র পদ্মাপাড় আবারো হয়েছে পরিচ্ছন্ন, ঝকঝকে, তকতকে।

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ম্লান হয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরেছে। পদ্মা গার্ডেনের ব্রিজসহ বিভিন্ন স্থাপনায় নতুন রঙ করা হয়েছে। ঝকঝক করছে পদ্মা গার্ডেন ও আশপাশের এলাকা। দেখে মনে হচ্ছে যেন নতুন রূপ পেয়েছে রাজশাহীবাসীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র এই পদ্মাপাড়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে দর্শনার্থী ও বিনোদনপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই আছে।

এ সম্পর্কে রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে পদ্মাপাড়ের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনো সংস্কারকাজ চলছে। পদ্মা নদীর কিনারায় থাকা ফুদকিপাড়া থেকে সীমান্ত অবকাশ পর্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। ২০ দিন ধরে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন। তারা ঝোপঝাড়, ময়লা-আবর্জনা সব সরিয়ে ফেলেছে। তাই এখন ঝকঝকে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ বিরাজ করছে রাজশাহীর অন্যতম পর্যটন ও বিনোদনের এই কেন্দ্রটি।

উল্লেখ্য, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে দায়িত্বে থাকাকালে পদ্মাপাড়ের ব্যাপক সৌন্দর্যবর্ধন করেছিলেন মেয়র লিটন। গড়ে তুলেছিলেন বিভিন্ন স্থাপনাসহ বিনোদনকেন্দ্র। পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্যের অন্যতম কেন্দ্র পদ্মাগার্ডেন। তবে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত অন্য একজন মেয়রের দায়িত্বে থাকায় সেই সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়।

২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণের পরপরই থেমে যাওয়া সব উন্নয়ন কাজ আবারো সচল হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নে এসেছে গতি। মেয়রের দিকনির্দেশনায় মহানগরীর সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও চলছে। গতকাল রোববার দুপুরে পদ্মাগার্ডেনসহ পদ্মাপাড় পরিদর্শন করেন রাসিকের মেয়র। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র-১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads