সৌদি রাজপরিবারে অভ্যুত্থানের আশঙ্কা

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

সৌদি রাজপরিবারে অভ্যুত্থানের আশঙ্কা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২ ডিসেম্বর, ২০১৮

সৌদি আরবের রাজপরিবারের সদস্যরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যুবরাজকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সম্প্রতি আরব আমিরাতভিত্তিক একটি গণমাধ্যমে এমন দাবি করা হয়। এরপর সৌদির অন্যান্য অঞ্চল থেকে সেনাবাহিনীকে রাজধানী রিয়াদে তলব করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। খবর ডেইলি মেইল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেনাবাহিনীকে রিয়াদে তলবের অর্থ হলো অভ্যুত্থানের বিষয়টি কিছুটা হলেও আমলে নিয়েছেন যুবরাজ। সে কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামলা দিতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে বর্তমানে আর্জেন্টিনা রয়েছেন যুবরাজ। সেখান থেকেই দেশটির পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে সেনাসদস্যদের রাজধানীতে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এর আগে আমিরাতের এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজতন্ত্রবিরোধী এক সৌদি যুবরাজ বলেন, রাজপ্রাসাদে অভ্যুত্থান খুব সন্নিকটে। যুবরাজের বিরুদ্ধে লড়তে একত্রিত হচ্ছেন বিরোধীরা।

জার্মানিতে নির্বাসন জীবনযাপন করা যুবরাজ খালিদ বিন ফারহান আল-সৌদ আমিরাতভিত্তিক দৈনিক আল-খালিজ অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সৌদিতে ইতোমধ্যে একটি বিরোধী গ্রুপ হয়েছে। তাদের লক্ষ্য একটাই যুবরাজকে পদ থেকে সরানো। এ সময় তিনি যুবরাজের সরকার পরিচালনার পদ্ধতিকে ‘অজ্ঞ ও বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করেন।

যদি সৌদি রাজপরিবার ও অন্যান্য দেশ বাদশাহ সালমান ও যুবরাজের বিরুদ্ধে যায় তাহলে সেখানে সংঘর্ষ বেধে যাবে। কারণ যারাই বিরুদ্ধে চলতে যাবে তাদের দমনে বর্বর পদ্ধতি বেছে নেওয়া হবে। কারণ এভাবেই বছরের পর বছর চলছে সৌদি রাজপরিবার। আশা করি খুব শিগগিরই অভভ্যুত্থান হবে এবং বিদ্রোহীরা বিশেষ বিশেষ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেবে। এরপর বাদশাহ ও যুবরাজকে তারা উৎখাত করবে- বলেন খালিদ। বাবার মৃত্যুর পর যুবরাজ মোহাম্মদ তার স্থলাভিষিক্ত হবেন-এটাই ছিল সহজ হিসাব। 

আল সৌদ পরিবারের বেশ কয়েকজন যুবরাজ এবং মোহাম্মদের চাচাতো ভাইয়েরা উত্তরাধিকারের সারিতে পরিবর্তন চান। ৮২ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান বেঁচে থাকতে এটা সম্ভব নয়। যতই অন্যায় করুক না কেন, প্রিয় পুত্র মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বাদশাহ যাবেন এমনটা হওয়ার নয়। এই পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য নানা বিষয় নিয়ে বিরোধী গ্রুপ আলোচনা করেছে। সাংবাদিক খাশোগি হত্যকাণ্ডের পর আলোচনায় উঠে এসেছে ৭৬ বছর বয়সী যুবরাজ আহমেদ বিন আবদুল আজিজের নাম। তিনি বাদশাহর একমাত্র জীবিত আপন ভাই। বাদশাহর মৃত্যুর পর তিনি সিংহাসনে আরোহণ করতে পারেন বলে আলোচনায় উঠে আসছে। যুবরাজ আহমেদের ব্যাপারে পরিবারের অন্য সদস্য ছাড়া রাষ্ট্রের নিরাপত্তা যন্ত্র ও কিছু পশ্চিমা শক্তি সমর্থন দিতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আড়াই মাস বিদেশে থাকার পর গত অক্টোবরে দেশে ফিরেছেন যুবরাজ আহমেদ। লন্ডনে তার বাসার সামনে আল সৌদ রাজবংশের পতন চেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় তিনি সৌদি নেতৃত্বের সমালোচনা করেছিলেন। রাজপরিবারের ৩৪ জন জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে গঠিত অ্যালেজিয়ান্স কাউন্সিলের যে তিনজন গত বছর যুবরাজ মোহাম্মদকে উত্তরাধিকার হিসেবে ঘোষণার বিরোধিতা করেছিলেন, আহমেদ তাদের একজন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads