বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানির জানাজায় পদদলিত হয়ে অন্তত ৩৫ জন মারা গেছে। এতে আরও বেশ কয়েকজন মানুষ আহত হয়েছে বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল।
আজ মঙ্গলবার ইরানি এই জেনারেলের নিজ শহর কেরমানে দাফনের আগে অনুষ্ঠিত জানাজায় পদদলনের ঘটনায় এ প্রাণহানি ঘটে। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, কেরমানে দেশটির জনপ্রিয় এই জেনারেলের জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, তার দাফনানুষ্ঠানে লাখ লাখ শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছে। এতে আরও ৪৫জন আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা গেছে, শোকার্ত লোকজন অবসন্ন হয়ে ফ্লোরে পড়ে আছেন। অন্যরা তাদের বুকে ঘষামাজা করছেন। মাটিতে পড়ে থাকা কারো কারো মুখ জ্যাকেট ও কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় দেখা গেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।
দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান পীর হোসেন কলিভান্দ বলেন, শোকমিছিলে অংশ নিয়ে বেশ কিছু লোক আহত হয়েছেন। অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের স্থপতি হিসেবে পরিচিত কুদস ফোর্সের শীর্ষ এই জেনারেলকে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।
সোমবার সকালে যখন জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ ইনকিলাব চত্বরে পৌঁছায় তখন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত এই জেনারেলের জানাজায় নেতৃত্ব দেন।
১৯৮০ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধে ইরাক সীমান্তে ইরানি বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সোলাইমানি। সে সময় তাকে জাতীয় বীর আখ্যা দেওয়া হয়। তারপর থেকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি এই জেনারেলকে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন সোলাইমানি।