নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার এজাহারভূক্ত ৯নং আসামী ছালা উদ্দিন(৩৫)কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ । মামলার এজাহারভুক্ত ও ঘটনায় জড়িত থাকায় এ নিয়ে মোট ৮জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৬জন এজাহার ভূক্ত আসামী বাকী ২জনের নাম পুলিশ তদন্তে উঠে আসে। পলাতক ও ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ।
শনিবার রাত ১টার দিকে ফেনীর সুলতানপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন মধ্য বাগ্যা গ্রামের টোকাইয়ের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ৭দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে এদের মধ্যে এজাহারভূক্ত আসামী সোহেল,স্বপন,বাদশার রিমান্ড শুনানী হওয়ার তারিখ ৬ জানুয়ারী ধার্য করা হয়েছে।
চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, রাতে সুলতানপুর এলাকার তার এক আত্মীয়ের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী সালা উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে নোয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর গভীর রাতে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী মধ্য ব্যাগ্যা গ্রামে পুলিশ পরিচয়ে ঘরের ভেতরে ঢোকে স্বামী সিএনজি-চালিত অটোরিকশার ড্রাইভার সিরাজ উদ্দিনকে মারধর ও তার সন্তানদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে রেখে ঘরের বাইরে নিয়ে এক গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে। ওই নারীর স্বামী ও সন্তানের কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করেন। পরে এই ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী সিরাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৯জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।