সিরাজগঞ্জে বাড়ছে পানি ডুবছে ঘর

ছবি: বাংলাদেশের খবর

প্রাকৃতিক দুর্যোগ

সিরাজগঞ্জে বাড়ছে পানি ডুবছে ঘর

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ জুন, ২০২০

যমুনার পানি দ্রতগতিতে বাড়ার ফলে ডুবছে বসতভিটাসহ রাস্তাঘাট-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর দুর্ভোগে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। তিনদিন যাবত পানিবন্দী থাকলেও কোনো সহায়তা পৌঁছেনি তাদের ঘরে। কোনো কোনো পরিবার ওয়াপদাবাঁধে আর কোনো পরিবার পানির মধ্যেই মানবেতরভাবে বসবাস করছে। অন্যদিকে, পানি বাড়ায় যমুনা নদীর এনায়েতপুর ও চৌহালী পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটছে এসব অঞ্চলের মানুষের।

জানা যায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে প্রায় দুই সপ্তাহ যাবত যমুনার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বর্তমানে যমুনার পানি কাজিপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ ও সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের প্রায় ৩০ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলের পানিবন্দী মানুষগুলো সবচেয়ে বেগি দুর্বিপাকে পড়েছে। একদিকে করোনায় কাজ নেই, অন্যদিকে ফসল তলিয়ে চরম ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতের চরম সমস্যা পড়তে হচ্ছে। আর যারা ওয়াপবদা আশ্রয় নিয়েছে তাদের অবস্থাও করুণ। কোনমতে টিনের ছাপড়া ও পলিথিন দিয়ে ঘর তুলে গরু-ছাগলসহ এক ঘরে গাদাগাদি করে থাকছে।এতে করোনার ঝুকিও বাড়ছে। এছাড়াও চৌহালী ও এনায়েতপুরে ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় এসব অঞ্চলের মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধি কেউ তাদের খোজ নিতেও যায়নি। তবে প্রশাসন এখনো বন্যা বলতে নারাজ। তারা বলছেন, পানি বিপদসীমা পার হলেও বেশি হয়নি। আর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাবে এটা স্বাভাবিক।

খোকশাবাড়ী এলাকার আলী আমজাদ, ময়েন উদ্দিন ও গিয়াস উদ্দিন জানান, করোনায় কর্ম নেই। তার উপর বন্যা মরার উপর খড়ার ঘায়ের মতো চেপে বসেছে। একবেলা রান্না করে তিন বেলা খেতে হচ্ছে। তিন চারদিনযাবত পানিবন্দী থাকলেও কেউ খোজ নিতে আসেনি।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি জানতে পত্র দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলে স্বস্ব উপজেলার চাহিদা মোতাবেক চাল ও নগদ টাকা সহায়তা দেয়া হবে। বর্তমানে সাড়ে ৮শ টন ও অর্ধকোটি টাকা ত্রাণ ভান্ডারে রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আরো দুএকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সবসময় সতর্ক রয়েছে। যাতে বন্যা সংরক্ষন বাঁধের কোথাও কোন লিকেজ না হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads