সাইফুল ইসলাম, সিংগাইর প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চকপাড়া লোকালয়ে চামড়া পোড়ানোর দূর্গন্ধে আশে পাশের পরিবেশ দূষণে অতিষ্ঠ লোকজন। কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে জনবসতিও জনগনের চলাচলের রাস্তার পাশেই অবাধে পোড়াচ্ছেন চামড়ার বর্জ্যপদার্থ । দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ দূষণ হলেও প্রশাসনের নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। এঅপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছেন চান্দহর ইউনিয়নের জন প্রতিনিধি মামুন,ও রাজধানির হাবিব, ফয়সাল দের একটি সিন্ডিকেট । একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে পরিবেশ রক্ষার বিপরীতে পরিবেশও বায়ু দূর্ষণে স্থানীয় জনগনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকাশ্যে দিবালোকে একজন জন প্রতিনিধির এ রকম অপকর্মকান্ডে প্রশ্ন বিদ্ব হচ্ছে প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে মামুন মেম্বার রাজধানী ঢাকার হাবিব, ফয়সাল গংরা চকপাড়া লোকলয়ে ও জনগনের চলাচলের রাস্তার পাশে খোলা তৈর করে চামড়ার পচা উচ্ছিষ্ট অংশ চুল্লী তে পুড়াচ্ছে দেদারছে। এ পচা চামড়ার পোড়ানোর ফলে বাতাসে বিশ্র দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে চারপাশের পরিবেশ ও বায়ু দূষণ হচ্ছে। ফলে গন্ধে মানুষের নিশ্বাস ফুঁকে উঠার উপক্রম । আর পরিত্যক্ত বজ্য পোড়ানোর ধোয়ার বিষাক্ত মিথেন গ্যাস ও কার্বনমনোক্সাইড বায়ুতে মিশে ঐ এলাকার সর্বত্র বিষ গ্যাসে পরিনত হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী কোন বসতি রাস্তার পাশে ধর্মীয় , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে এসব কারখানা বা কোন রকমের বর্জয় দাহ করা যাবেনা। কিন্ত তারা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে জনবসতি, রাস্তা মসজিদ, তিন ফসলি জমির পাশে চামড়া পুড়িয়ে মশার কয়েলের ,ও মুরগির পোল্টি্র ফিডের উপাদান বানাচ্ছে । এ নিয়ে জনমনে যত প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। লোকালয়ে এসব পোড়ানোর কারণে খাওয়া দাওয়া দূরে থাক তাদের বাড়িতে থাকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে । এ দূর্গন্ধে পথচারী ও বাড়িতে থাকা লোকজনের পেট ফুলে চাচ্ছে। স্থানীয় মুসল্লীরা মসজিদে নামাজ পড়তে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া শিশু সহ বয়ো বদ্ধা পেটের পীড়াজনিত রোগ সহ বিভিন্ন জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। । স্থানীয়রা এ নগ্ন কর্মকান্ডে বাধা দিলেও বস্তা পোড়ানোর দায়ে ঐ জনপ্রতিনিধি মামুন দরিদ্র ১২ পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। যেখানে পরিবেশ দূষণ দায়ে ঐ জনপ্রতিনিধির জেল জরিমানা হওয়ার কথা বিপরীতে ইউপি সদস্য প্রভাব খাটিয়ে ভুক্ত ভোগীদের মোটা অংকের অর্থ দন্ড দিতে বাধ্য করেন। এ যেন মগের মুল্লুক।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ষাটোবর্ধ এক বৃদ্ধ বলেন এরা প্রভাব শালী, আমরা নিরীহ মানুষ কিছুই বলার নেই। গন্ধে খাইতে পারিনা পেট ফুলে যায় ।
চান্ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শওকত হোসেন বাদল বলেন এবিষয়টি আমি জানিনা তবে পরিবেশ দূষণ বন্ধে এটা বন্ধ করা হবে।
মামুম মেম্বার টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন এটা মিথ্যা কথা। আমার প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এটা বলেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপন দেবনাথ বলেন বায়ু দূষণ রোধে তাড়া তাড়ি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।