হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান যেন এক অস্ত্রের খনি। কিছুদিন পর পরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাতছড়ির গহীন জঙ্গল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করছে।এর আগে ৬ বার র্যাব অস্ত্র উদ্ধার করলেও এবার অস্ত্র উদ্ধার করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। অভিযানে ১৮টি ১৮টি রকেট লঞ্চারের গোলা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাতছড়ি উদ্যানে বিজিবি- ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সামিউন্নবী চৌধুরী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীণ অরণ্য থেকে রকেট লাঞ্চারের গোলা উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে অভিযান চালায় বিজিবি’র সদস্যরা।
এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালিয়ে সেখান একই এলাকা থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব। এরপর আবারো একই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০গুলির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়।
পরে ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির ৮ হাজার ৩৬০ রাউন্ড, ত্রি নট ত্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
৫ম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষ ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩টি রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশকিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।