সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার অফিসে ড. মঈন খানের উপর ফের হামলা

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলায় আহত বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার অফিসে ড. মঈন খানের উপর ফের হামলা

ব্যক্তিগত সহকারী আহত

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

এবার নরসিংদীর পলাশে সহকারী রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ড. আবদুল মঈন খান। হামলায় মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন আহত হয়েছে। আজ সোমবার ২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর কিছুক্ষণ আগে একই উপজেলার পারুলিয়া দরগা মসজিদ এলাকায় মঈন খাঁনের গণসংযোগে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।

আহত বাহাউদ্দিন ভূইয়া মিল্টন সাংবাদিকদের জানান, ‘ড. আবদুল মঈন খাঁন ও আমি নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশি বাধা এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার বিষয়ে অভিযোগ করতে রিকশা দিয়ে উপজেলা পরিষদে যাই। পরিষদের সিড়ি দিয়ে উপরে উঠার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা অতর্কিতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে স্যারকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় আমি গুরুত্বর জখম হই। ওই সময় হামলাকারীরা প্রকাশ্যে গুলি ছুঁড়তে থাকেন’। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের এক দোকানদার জানিয়েছেন, ‘আমরা ভেতরে গন্ডগোল দেখতে পেয়েছি। ওই সময় চিৎকার শুনতে পেয়েছি। তবে আমরা ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করিনি’। ঘটনার পর ড. আবদুল মঈন খাঁন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আশ্রয় নেন। পরে পুলিশি নিরাপত্তায় মঈন খাঁনকে নিরাপদে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

ওই সময় ড. আবদুল মঈন খাঁন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিবার যখন আমরা প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করি, তখন আওয়ামী লীগ আমাদের প্রতিরোধ করে। আজকের সহিংসতার পর আমার নির্বাচনী প্রচারণা চালানো সম্ভব নয়’। এ বিষয়ে পলাশের সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সভায় ব্যস্ত ছিলেন। ঘটনার পর তার (মিল্টন) নাক দিয়ে রক্তপাত হচ্ছিল। আমার ধারণা নাকে ঘুষি লেগে থাকতে পারে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে’।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে দুই জন দুর্বৃত্ত ড. মঈন খাঁনের উপর হামলা চালিয়েছে। ওই সময় কিলঘুষিতে ওনার পিএস মিল্টন আহত হয়েছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি’।

এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একই উপজেলার পারুলিয়া দরগা মসজিদ এলাকায় মঈন খাঁনের গণসংযোগে পুলিশ বাঁধা দেয়। ওই সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। তবে পলাশ থানার ওসি মকবুল হোসেন মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশি বাধার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এই ব্যাপারে জানতে নরসিংদী-০২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খাঁন দিলীপের ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। একই সঙ্গে মোবাইল বন্ধ রয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কবির মৃধার।

প্রসঙ্গত, এর আগে নির্বাচনী এলাকা নরসিংদীর পাঁচদোনা ও আমদিয়ায় ড. মঈন খাঁনের নির্বাচনী প্রচারণায় পৃথক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সকল ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক বিএনপির নেতা-কর্মী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads