জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের তিন শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান মিঠুন, আনারুল ইসলাম ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসানুল হাসান হাবীব।
তারা বলেন, গত বৃস্পতিবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের সামনের রাস্তায় ঘোরাফেরার সময় পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হাসান মনি, রাকিবুল হাসান ও সাদেক হোসেন আকাশকে ওই এলাকার ফুটপাত দোকানীরা তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারধর করলেও এর কোনো প্রতিকার না হওয়ায় তারা টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি, ক্যাম্পাসের সামনে রাস্তার ফুটপাত উচ্ছেদসহ মেডিকেল শিক্ষার্থীদের উপর প্যাথলজি বিভাগের কর্মকর্তাদের দুরব্যবহার বন্ধের দাবী জানান।
জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াকিল আহম্মেদ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিষয়টি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকেও অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার কর্মকর্তা সালেমুজ্জামান বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। এবং গত শনিবার রাতে রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৫ম বর্ষের তিন শিক্ষার্থী ইমরান হাসান মনি ও রাকিবুল হাসান ও সাদেককে স্থানীয় সন্ত্রাসী বিপুল, সুমন ও ইউসুফ হামলা ও মারধর করে আহত করে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার পরদিন আবার তাদের ছেড়ে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনাতায় ভুগছে। তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন। তাদের দাবী না মানলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলেও ঘোষণাদেন।
জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এম এ ওয়াকিল বলেন, শিক্ষার্থীদের সামনে পরিক্ষা তাদের আন্দোলন না করে লেখাপড়ায় মনযোগী হওয়ার প্রয়োজন। এবং মাননীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকেও বিষয়টি জানিয়েছি যাতে করে সঠিক বিচার শিক্ষার্থীরা পায়।