দেশে ক্যাশ সার্ভার বসানোর অনুমোদন পেয়েছে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্স। শর্তসাপেক্ষে তাদের এ অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। শর্তে বলা হয়েছে, শুধু ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (এনআইএক্স) অপারেটররাই ইন্টারনেট গেটওয়েতে নেটফ্লিক্স ক্যাশ সার্ভার বসাতে পারবে। অন্য কেউ তা করতে পারবে না। গতকাল প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে বিটিআরসি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিশনের এক বৈঠকে ইন্টারনেট গেটওয়েতে ক্যাশ সার্ভার বসানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি, তাতে আইএসপিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের ক্ষেত্রেও শর্ত হিসেবে এনআইএক্স অপারেটরের কাছ থেকে আন্তঃসংযোগ নিতে হবে।
এনআইএক্স অপারেটরগুলোকেও শর্ত দিয়ে ক্যাশ সার্ভার বসানোর কথা বলেছে কমিশন। কমিশনের দেওয়া শর্তে বলা হয়েছে, নেটফ্লিক্সের ক্যাশ সার্ভার বসাতে ও তা ব্যবহারে কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। দেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ভ্যাট-ট্যাক্স, ফি প্রদান করতে হবে এবং ইন্টারন্যাশনাল কনটেন্ট সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে কমিশন প্রণীত গাইডলাইন লাইসেন্সিং অনুযায়ী আন্তঃসংযোগ স্থাপন ও এসএলএ ট্যারিফের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
দিন দিন বাংলাদেশের বাজারে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে ইন্টারটেইনমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার নেটফ্লিক্সের। ফলে স্থানীয় বাজারে তাদের অবস্থান আরো শক্ত করতেই চলতি বছরের শুরুতে ক্যাশ সার্ভার বসানোর জন্যে বিটিআরসির কাছে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি।
তাদের আবেদনে বলা হয়েছিল, নেটফ্লিক্স ঢাকায় ক্যাশ সার্ভার বসাতে পারলে এখানে তাদের গ্রাহকরা আরো ভালো সেবা পেতে পারবেন।
এর আগে অবশ্য ফেসবুকসহ আরো কয়েকটি কোম্পানিকে ঢাকায় ক্যাশ সার্ভার বসানোর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কিছুদিন আগে হাইকোর্টের একটি রায়ে বলা হয়, কোনো ডিজিটাল সার্ভিস কোম্পানি বাংলাদেশে অফিস স্থাপন এবং সরকারের সঙ্গে তাদের রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়টি নিশ্চিত করেই বাংলাদেশে ব্যবসা করতে পারবে।
বিটিআরসিকে দেওয়া হাইকোর্টের এমন নির্দেশনার প্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা খানিকটা জটিলতায় পড়ে যায়। তবে জটিলতা থেকে উদ্ধার পেতে তারা ইন্টারনেট ওয়েব মাধ্যমে নেটফ্লিক্সের কাছ থেকে তাদের আয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায়।
এ জন্যে আইআইজিগুলোকে এখান থেকে আয়ের অংশ বিটিআরসিকে দিতে হবে বলেও সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন কোম্পানি নেটফ্লিক্স যেহেতু ফেসবুক বা গুগলের মতোই ঢাকায় অফিস স্থাপনের বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী নয়, তাই বিটিআরসি নতুন এই পদ্ধতিতে গেছে বলেও জানা গেছে।